তুরস্কের সঙ্গে যৌথ মহড়ায় বাংলাদেশের বিশেষ বাহিনী
- বাংলাদেশ-তুরস্ক প্রতিরক্ষা বন্ধনে নতুন অধ্যায়
- তুরস্কে যৌথ মহড়ায় বাংলাদেশের সেনা-নৌ কমান্ডো
- ৮ জুলাই ঢাকায় আসছেন তুর্কি প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা
- TRG-300 ও ড্রোন প্রযুক্তিতে বাংলাদেশ-তুরস্ক ঘনিষ্ঠতা
টুইট ডেস্ক: বাংলাদেশ ও তুরস্কের মধ্যে প্রতিরক্ষা সহযোগিতার সম্পর্ক ক্রমেই ঘনিষ্ঠ ও কৌশলগত রূপ নিচ্ছে। সাম্প্রতিক সময়ে দুই দেশের মধ্যে সামরিক প্রশিক্ষণ, যৌথ মহড়া ও প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম ক্রয়-বিক্রয়ের মাধ্যমে সম্পর্কের নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হয়েছে।
সম্প্রতি তুরস্কে অনুষ্ঠিত একটি বহুজাতিক সামরিক মহড়ায় (multinational military exercise) অংশ নিয়েছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ‘স্পেশাল ওয়ারফেয়ার উইং’ এবং বাংলাদেশ নৌবাহিনীর ‘স্পেশাল কমান্ডো ফোর্স’। এই মহড়ায় অংশগ্রহণের মাধ্যমে বাংলাদেশ বাহিনীগুলো তাদের আন্তর্জাতিক অভিজ্ঞতা আরও সমৃদ্ধ করেছে এবং তুরস্কসহ অন্যান্য দেশের সঙ্গে যৌথ অভিযান পরিচালনার সক্ষমতা অর্জন করেছে।
এই গুরুত্বপূর্ণ সামরিক সহযোগিতার পরিপ্রেক্ষিতে আগামী ৮ জুলাই ঢাকায় আসছেন তুরস্কের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের একজন উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তা। তার এই সফরে দুই দেশের মধ্যে প্রতিরক্ষা প্রযুক্তি, প্রশিক্ষণ, অস্ত্র সরবরাহ ও যৌথ মহড়ার বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এর আগেও বাংলাদেশ সেনাবাহিনী তুরস্ক থেকে অত্যাধুনিক মাল্টিপল রকেট লঞ্চার সিস্টেম (TRG-300 Kaplan), ড্রোন ও অন্যান্য সামরিক প্রযুক্তি ক্রয় করেছে। এর ফলে প্রতিরক্ষা সক্ষমতায় এক যুগান্তকারী উন্নয়ন ঘটেছে।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, দক্ষিণ এশিয়া ও মধ্যপ্রাচ্যের ভূরাজনৈতিক বাস্তবতায় বাংলাদেশ-তুরস্ক প্রতিরক্ষা সম্পর্ক কৌশলগতভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তুরস্কের সামরিক প্রযুক্তি ও বাংলাদেশের প্রশিক্ষিত বাহিনী মিলিয়ে দুই দেশের মধ্যে একটি ভারসাম্যপূর্ণ ও পারস্পরিক উপকারী সম্পর্ক গড়ে উঠছে।
বাংলাদেশ-তুরস্ক প্রতিরক্ষা অংশীদারিত্ব শুধু অস্ত্র কেনাবেচার মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়; বরং এটি দুই দেশের মধ্যে দীর্ঘমেয়াদি কৌশলগত সম্পর্ক গড়ে তোলার একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ।
এই সম্পর্ক আঞ্চলিক নিরাপত্তা ও সামরিক সক্ষমতায় নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।