জাসদ নেতার ছেলের ছাত্রদলে যোগদান ঘিরে কুষ্টিয়ায় তীব্র বিতর্ক
নিজস্ব প্রতিবেদক: কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার আমবাড়িয়া ইউনিয়নে ছাত্রদলের স্থানীয় নেতৃত্ব নিয়ে তৈরি হয়েছে তীব্র বিতর্ক। বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন মাহমুদুল হাসান তীব্র নামের এক যুবক, যিনি নিজেকে ইউনিয়ন ছাত্রদলের নেতা দাবি করছেন।
তীব্রের পারিবারিক পটভূমি নিয়েই মূলত ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। তার বাবা মশিউর রহমান মিলন একজন দণ্ডপ্রাপ্ত জাসদ নেতা। বিএনপির সাবেক চেয়ারম্যান প্রার্থী ডা. লুৎফর রহমান সাবু হত্যা মামলায় তিনি যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত।
সম্প্রতি আমলা ইউনিয়নের কৃষক জমির আলী হত্যার মামলার তিন আসামিকে আশ্রয় দেওয়ার অভিযোগেও তার নাম উঠে এসেছে। যৌথ বাহিনীর অভিযানে মিলনের বাড়ি থেকেই ওই তিনজনকে আটক করা হয়।
স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন, এই পরিবার দীর্ঘদিন ধরে অপরাধ ও বিতর্কিত রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত। মিলনের বাবা ছিলেন তালিকাভুক্ত রাজাকার, স্ত্রী মহিলা জাসদের নেত্রী। এমন পরিবার থেকে আসা কেউ ছাত্রদলের নেতৃত্বে কিভাবে আসে, তা নিয়ে ব্যাপক প্রশ্ন উঠেছে।
আমবাড়িয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন,
“যারা মুক্তিযুদ্ধবিরোধী ও সন্ত্রাসে জড়িত, তাদের পরিবার থেকে কাউকে ছাত্রদলে স্থান দেওয়া বিএনপির আদর্শের পরিপন্থী। আমরা কেন্দ্রের কাছে তীব্রের বহিষ্কারের দাবি জানিয়েছি।”
এলাকাবাসীর অনেকে বলছেন, মিলনের মতো ব্যক্তিরা এলাকায় বারবার অশান্তি সৃষ্টি করছে। প্রশাসনের উচিত, তার বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া।
এই ঘটনা ছাত্রদলের স্থানীয় নেতৃত্ব বাছাই প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এমন ঘটনা দলের ভেতরে বিভাজন ও আস্থার সংকট সৃষ্টি করতে পারে।
টুইটনিউজ২৪ডটকম | বস্তুনিষ্ঠ সংবাদে অটুট।