যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ বাণিজ্য চুক্তিতে বড় অগ্রগতি, অর্থনৈতিক সম্পর্ক আরও মজবুত হচ্ছে
টুইট ডেস্ক: বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নতুন গতিপথে এগিয়ে চলেছে। গত এক বছরে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক পুনর্গঠনের যে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, তা এখন ফল দিতে শুরু করেছে।
বিশেষ করে একটি নতুন দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে চলমান আলোচনা এই সম্পর্ককে শক্ত ভিতের ওপর দাঁড় করাচ্ছে।
সম্পর্কের নতুন সংজ্ঞায়ন শুরু ট্রাম্প প্রশাসনের সময়েই অনেক বিশ্লেষকের অনুমান ছিল, যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের সম্পর্ক নানা চ্যালেঞ্জে পড়বে। কিন্তু সেই আশঙ্কা মিথ্যা প্রমাণ করে, ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক পুনর্গঠনের প্রক্রিয়া গতি পায়।
আজকের এই অংশীদারিত্ব গড়ে উঠেছে পারস্পরিক স্বার্থের ভিত্তিতে, যেখানে বাণিজ্য ও বিনিয়োগের গুরুত্ব সবচেয়ে বেশি।
বেসরকারি খাতের ভূমিকাও গুরুত্বপূর্ণ
বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্র উভয়ের বেসরকারি খাত এই অংশীদারিত্বকে এগিয়ে নিতে বড় ভূমিকা রাখছে। নতুন প্রযুক্তি, উৎপাদন, ও পরিষেবা খাতে পারস্পরিক সহযোগিতা দুই দেশের অর্থনীতিকেই শক্তিশালী করে তুলছে।
নতুন চুক্তি: ভবিষ্যতের পথপ্রদর্শক
বর্তমানে আলোচনাধীন নতুন বাণিজ্য চুক্তিটি দুই দেশের অর্থনৈতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে বড় মাইলফলক হতে যাচ্ছে।
এই চুক্তির মাধ্যমে—বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি আরও বাড়াতে পারবে, যুক্তরাষ্ট্রের বিনিয়োগ আরও সহজ হবে, আর দুই দেশের চাকরি, প্রযুক্তি ও উৎপাদন খাতে সুযোগ তৈরি হবে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, এই চুক্তি কার্যকর হলে বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে আরও প্রতিযোগিতামূলক সুবিধা পাবে, যেভাবে চীন ও ভিয়েতনাম মার্কিন বাজারকে কৌশলগতভাবে ব্যবহার করেছে।
গত কয়েক সপ্তাহের মধ্যে যারা এই চুক্তির আলোচনায় যুক্ত ছিলেন, বাংলাদেশি ও আমেরিকান— উভয় পক্ষের আলোচকরা প্রশংসিত হয়েছেন। তাদের দক্ষতা ও কূটনৈতিক তৎপরতা এই চুক্তিকে বাস্তবের কাছাকাছি এনেছে।
বাংলাদেশ এখন উদাহরণ
অনেক দেশ এখন বাংলাদেশের অবস্থান ও পরিচালনা দেখে ঈর্ষান্বিত হচ্ছে। তারা বুঝতে পারছে, কীভাবে ঢাকা জটিল ভূরাজনৈতিক পরিস্থিতিতে কৌশলী কূটনৈতিক চালচল করে লাভবান হচ্ছে।
জুলাই মাসে উদযাপনের আরেকটি কারণ
যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতা দিবস ও বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র অংশীদারিত্বের এই অগ্রগতি—দুই দেশের জন্যই জুলাই মাস উদযাপনের একটি যৌথ উপলক্ষ হয়ে উঠেছে।