বাইডেনের অভিশংসন তদন্তে কংগ্রেসের আনুষ্ঠানিক অনুমোদন
বিশ্ব ডেস্ক : প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের বিরুদ্ধে চলমান অভিশংসনের তদন্তের আনুষ্ঠানিক অনুমোদন দিয়েছে কংগ্রেস।
রিপাবলিকান পার্টির সংখ্যাগরিষ্ঠ কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ হাউজ অফ রিপ্রেজেন্টেটিভে এই প্রস্তাব অনুমোদিত হয়। তবে রিপাবলিকান পার্টি এখনও বাইডেনের বিরুদ্ধে অভিশংসনের জন্য প্রয়োজনীয় কোনো প্রমাণ খুঁজে পায়নি। বাইডেন নিজেই এ ধরনের পদক্ষেপকে ‘ভিত্তিহীন’ বলে নিন্দা করেছেন।
কংগ্রেস বাইডেনের অভিশংসন তদন্তের জন্য আনুষ্ঠানিক অনুমোদন দিয়েছে, কিন্তু রিপাবলিকান পার্টি এখনো তার বিরুদ্ধে কোনো প্রমাণ প্রদান করতে পারেনি। বাইডেনের ছেলে হান্টার বাইডেনের বিদেশি ব্যবসা ও লেনদেন সংক্রান্ত তদন্ত একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়েছে এবং তার বিরুদ্ধে প্রমাণ খুঁজে পেতে তদন্ত চলছে।
হাউজ অফ রিপ্রেজেন্টিটিভে রিপাবলিকান পার্টি ও ডেমোক্রেটিক পার্টির আসনসংখ্যা যথাক্রমে ২২১ ও ২১২। বাইডেনের বিরুদ্ধে অভিশংসন তদন্তের ভোটাভুটিতেও পক্ষে-বিপক্ষে একই পরিমাণ ভোট পড়েছে। মূলত বাইডেনের ছেলে হান্টার বাইডেনের বিদেশি ব্যবসায় ও লেনদেন থেকে বাইডেন কোনোভাবে উপকৃত হয়েছেন কি না, সে বিষয়ে তদন্তের বিষয়টি সামনে রাখা হচ্ছে।
‘প্রেসিডেন্ট হওয়ার আগে ও তার শাসনামলে বাইডেন বলেছেন, ‘হান্টার বাইডেন বা তার সহযোগীদের সঙ্গে তিনি কখনো ব্যবসা নিয়ে কথা বলেননি, এবং তার ছেলে বিদেশে অনৈতিক উদ্যোগ থেকে কোনো অর্থ উপার্জন করেননি’।
‘হোয়াইট হাউজ এই তদন্তকে অসত্য ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে প্রত্যাখ্যান করেছে। বাইডেন তার রিপাবলিকান পূর্বসূরি ডনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে ২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে লড়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন। ট্রাম্প আমেরিকান ইতিহাসে প্রথম প্রেসিডেন্ট, যাকে দুবার অভিশংসন প্রস্তাবের মুখোমুখি হতে হয় এবং বর্তমানে তার বিরুদ্ধে চারটি ফৌজদারি মামলা চলছে।’
বিরোধীরা অভিশংসন তদন্তের বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে অনুমোদন দিলেও বাইডেনকে প্রেসিডেন্ট পদ থেকে সরানো সম্ভব হবে না। কারণ, তার অভিশংসন প্রস্তাব কংগ্রেসের নিম্নকক্ষে পাস হয়ে গেলেও তা আটকে যাবে সিনেটে। বাইডেনকে সরাতে হলে সিনেটের দুই-তৃতীয়াংশ ভোট প্রয়োজন হবে। কিন্তুি সিনেটে ডেমোক্রেটিক পার্টি রিপাবলিকানদের থেকে ৫১-৪৯ সিটের ব্যবধানে এগিয়ে আছে।
এদিকে, ‘বাইডেনপুত্র হান্টার বাইডেন গত সোমবার কংগ্রেসের একটি তদন্ত কমিটির সামনে সাক্ষ্য দিতে অস্বীকৃতি জানান’। তিনি বলেন, কোনো গোপন কক্ষে নয়, তিনি জবানবন্দি দেবেন সবার সামনে। তার আশঙ্কা, গোপনে জবানবন্দি দিলে তার বক্তব্যকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ভুল ব্যাখ্যা করা হবে। এ সময় তিনি দাবি করেন, তার ব্যবসায় বা লেনদেন থেকে তার বাবা লাভবান হয়েছেন এমন কোন প্রমাণ নেই।