নারী ফুটবলে ইতিহাস গড়লো বাংলাদেশ, অভিনন্দনে ভাসছে জাতি

টুইট ডেস্ক: বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলের গৌরবময় সাফল্যে উচ্ছ্বসিত গোটা দেশ। ২০২৬ সালের এএফসি (AFC) নারী এশিয়ান কাপের চূড়ান্ত পর্বে প্রথমবারের মতো জায়গা করে নিয়ে ইতিহাস গড়েছে লাল-সবুজের মেয়েরা।

এই ঐতিহাসিক অর্জনের জন্য বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলকে আন্তরিক অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস।

আজ রাতে এক বার্তায় তিনি বলেন,

“এই অর্জন শুধু নারী ফুটবলের নয়, বরং গোটা জাতির জন্য গর্বের; এটি আমাদের সম্ভাবনা, প্রতিভা ও অদম্য চেতনার একটি অনন্য উদাহরণ।”

তিনি আরও বলেন,

“আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, এই সাফল্য ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করবে এবং আন্তর্জাতিক মঞ্চে বাংলাদেশের মর্যাদা আরও উজ্জ্বল করবে।”

প্রথমবারের মতো মূল পর্বে বাংলাদেশ

বাংলাদেশ নারী দল এবার কোয়ালিফায়ার রাউন্ডে দুর্দান্ত পারফর্ম করে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে এশিয়ান কাপের মূলপর্বে জায়গা করে নেয়। বিশেষ করে থাইল্যান্ড ও ইন্দোনেশিয়ার মতো শক্ত প্রতিপক্ষকে পরাজিত করে মেয়েরা তাদের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করে।

নারী ক্রীড়ার জাগরণ

বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল ইতিমধ্যেই দক্ষিণ এশিয়ার সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ জিতে আলোচনায় আসে। এবার এশিয়ার মূল মঞ্চে ওঠা নিঃসন্দেহে এক যুগান্তকারী ধাপ।

ক্রীড়া বিশ্লেষকরা বলছেন, এই সাফল্য দীর্ঘদিনের কাঠামোগত উন্নয়ন, নারীদের জন্য নিরাপদ ও প্রাতিষ্ঠানিক প্রশিক্ষণ এবং দলগত পরিশ্রমের ফল।

জাতীয় গর্ব

অভিনন্দন জানাচ্ছেন দেশের বিভিন্ন স্তরের মানুষ—রাজনীতিবিদ, ক্রীড়াবিদ, সাংবাদিক, অভিনেতা, সাধারণ জনগণ। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছেয়ে গেছে “গর্বিত বাংলাদেশ” হ্যাশট্যাগে

বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (BFF) নারী দলের বিজয়ের মুহূর্ত, ট্রেনিং ক্যাম্প ও উদযাপনের ছবি প্রকাশ করেছে।

বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলের প্রতি রইলো অকুণ্ঠ শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা।

আপনারা দেখিয়ে দিলেন—সফলতা আর আত্মবিশ্বাসে কোনো লিঙ্গভেদ নেই, নেই সীমাবদ্ধতা।

বাংলাদেশ এগিয়ে যাক নারী খেলায়, বিশ্বমঞ্চে আরও গর্ব নিয়ে উঠুক লাল-সবুজের পতাকা।