হার্টের রিংয়ের পর ‘চোখের লেন্সের’ দাম নতুন নির্ধারণ
টুইট ডেস্ক : হার্টের রিং-এর পর এবার চোখের লেন্সের দাম নির্ধারণ করে দিল ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর। বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, বাংলাদেশে ১২ দেশের ১২৯ ধরনের লেন্সের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে এবং এসব লেন্সের মূল্য ১৪৩ টাকা থেকে শুরু হয়ে সর্বোচ্চ ১ লাখ ২৬ হাজার টাকা পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়েছে।
বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোহাম্মদ ইউসুফের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। সারা দেশের হাসপাতালে চোখের রোগীদের জন্য নতুন লেন্সের দাম নোটিশবোর্ডে প্রদর্শন করতে বলা হয়েছে।
ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মূল্য নির্ধারণী তালিকা বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি ৪৯ ধরনের লেন্স যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানি হচ্ছে, এরপর ভারত থেকে ৪২ ধরনের লেন্স। এরপর যুক্তরাজ্য থেকে ১১ ধরনের, থাইল্যান্ড, বেলজিয়াম, জার্মানি, বার্বাডোজ ও হাঙ্গেরি থেকে ৪ ধরনের, সিঙ্গাপুর, জাপান ও গ্রিস থেকে ২ ধরনের এবং স্পেন থেকে ১ ধরনের লেন্স আমদানি হচ্ছে।
অধিদপ্তরের মুখপাত্র ও উপ-পরিচালক নুরুল আলম বলেন, “চোখের লেন্সের দাম নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে নৈরাজ্য চলছিল। যার যা দাম পছন্দ, সে অনুযায়ী রোগীদের কাছ থেকে দাম নিয়েছে। তাই আমরা এবার এটি নির্ধারণ করে দিয়েছি; এখন থেকে সবাই এই দামে লেন্স বিক্রি করবে।”
তিনি বলেন, আমদানিকারক ও হাসপাতালগুলো নির্ধারিত দামে লেন্স বিক্রি করছে কিনা তা মনিটর করবে ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর। এরপরও কোনো আমদানিকারক বা হাসপাতাল যদি বেশি দামে লেন্স বিক্রি করে, তাহলে ওষুধ ও কসমেটিক আইন অনুযায়ী ওষুধের অতিরিক্ত দাম রাখায় দুই বছরের সশ্রম কারাদণ্ড বা দুই লাখ টাকা বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবে। আমরা আশা করছি, চোখের রোগীরা এখন থেকে কম খরচে চিকিৎসা পাবেন।
বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, লেন্সের সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য (এমআরপি) প্যাকেজে অন্তর্ভুক্ত না করার ব্যবস্থা করতে হবে। রোগীকে লেন্সের নাম, সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য এবং উৎপাদক দেশের নাম উল্লেখ করে ক্যাশমেমো দিতে হবে। ফ্যাকো সার্জারির পর রোগীকে লেন্সের প্যাকেট সরবরাহ করতে হবে। একইসঙ্গে, লেন্সের প্যাকেটের গায়ে উৎপাদন তারিখ, মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ, উৎপাদক দেশ এবং সর্বোচ্চ খুচরামূল্য উল্লেখ থাকতে হবে, যাতে করে সার্জনরা সেটি দেখে নির্দেশনা দিতে পারেন।
১২ দেশের ১২৯ ধরনের লেন্সের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে এবং এসব লেন্সের মূল্য ১৪৩ টাকা থেকে শুরু হয়ে সর্বোচ্চ ১ লাখ ২৬ হাজার টাকা পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়েছে।
অধিদপ্তরের বিজ্ঞপ্তি অনুসারে, থাইল্যান্ডের হয়া ল্যাম্পুন লিমিটেডের ‘হয়া আইইএনএস-২৫১’ মডেলের লেন্সের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১৫ হাজার ৮৯০ টাকা, ‘হয়া আইইএনএস-১৫০’ মডেল ৯ হাজার ৮৫ টাকা, ‘এক্সওয়াই১-এসপি’ মডেল ২১ হাজার ১৯০ টাকা, ‘পিসি-৬০ এরা’ মডেল ৮ হাজার ৩২৫ টাকা, ‘হয়া ভিভিনিক্স টরিক’ ৪৬ হাজার ২৩৮ টাকা, ‘হয়া নামিক্সমাল্টিসেরট’ ১৯ হাজার ২৮০ টাকা।
ভারতের ট্রফোল্ড-‘ফোডেবল’ ১ হাজার ১৯০ টাকা, ‘এক্সিলেন্স রিজিড পিএমএমএ’ ২০৩ টাকা, ‘অপটিমা লেন্স’ ২০১ টাকা, ‘অপটিমা এ্যাক্রিলিক’ ৮৭১ টাকা, ‘ম্যাক ফোল্ড’ ৮০০ টাকা, ‘অপটিমা ভিইউই’ ৩ হাজার ৮০০ টাকা, ‘আইক্রেল টোরিক’ ১৬ হাজার ৪৪২ টাকা, ‘আইক্রেল প্লাস’ ৪ হাজার ৭৩৩ টাকা, ‘আইক্রেল প্লাস হাইড্রোলিলিক’ ১ হাজার ৪২৪ টাকা, ‘আইক্রেল এসইআরটি’ ৬ হাজার ৩৬০ টাকা, একোয়া ফোল্ড ১ হাজার টাকা, এক্রিভাস ২ হাজার ৯৫০ টাকা, ইউরোলেন্স ২২৮ টাকা, ইউরোঢোল্প ১ হাজার ১৩ টাকা, ইউরোভিউ ৩ হাজার ১৬৫ টাকা, ইউরোভিউ টোরিক ১৬ হাজার ৬০০ টাকা, ইউরোভিউ ডিফাইন ৩৯ হাজার ১০০ টাকা, ইউরোভিউ ইভি গোল্ড ৭২৯৩ টাকা, ইউরোব্ল ২২০ টাকা, ইউরোভাইস ৩০৫ টাকা, ইউরোজেল প্লাস ১ হাজার ৪২৩ টাকা, ইউরোসিল ৪ হাজার ২৫০ টাকা, আইরো অপকটেন লিকুইড ৫ হাজার ৯৩২ টাকা, ন্যানো আইওএল ৫ হাজার ৯৩০ টাকা, ন্যনো আইএএল ২০১ টাকা, ন্যানো এসকিউডি–৩৬০ ৪০২ টাকা, ন্যানো কিউ ৪৯১ টাকা, ন্যানো ফোল্ড ৮৭১ টাকা, আইলা এ্যক্রেলিক ৩ হাজার ২৬৬ টাকা, এ্যাক্রিল ৮৯০ টাকা, ক্লারভিউ ৬৮০ টাকা, হাইড্রোফিল (এফএ-৬০২৫) ১ হাজার ১৪৫ টাকা, কেটরাকোর ১৮১ টাকা, গ্লোফোল্ড ৭২৬ টাকা, অকুফ্লিস ৭৮০ টাকা, আই-ও-কেয়ার ১৪৩ টাকা, অ্যাক্রোল ইসি ৪ হাজার ৫৪৬ টাকা, অ্যাক্রোল প্রিলোডেড ২ হাজার ৭২৮ টাকা, অ্যক্রিডিফ ২১ হাজার ৪২৯ টাকা, অ্যাপেলেন্স ২২৮ টাকা, অ্যক্রিফোল্ড ইন্ট্রিকুলার ১ হাজার ১৩ টাকা, সুপার ফোব ৩ হাজার ২৬৬ টাকা।
যুক্তরাষ্ট্রের একিউট পিএমএমএ ১ হাজার ৫৯৮ টাকা, একিউইটি হাইপ্রোফোবিক ৬ হাজার ৬৬০ টাকা, আইকিউ এক্রেলিক ১৬ হাজার ৩২৫ টাকা, এক্রোসফ মাল্টপিস ৬ হাজার ৯০০ টাকা, এক্রোসফ এক্রলিক ৯ হাজার ৭০২ টাকা, এক্রোসফ আইকিউ টরিক ৪১ হাজার ৫০৫ টাকা, এক্রোসফ আইকিউ এসফেরিক ১৮ হাজার ৫৮৪ টাকা, এক্রোসফ আইকিউপেনপটিক্ ৮০ হাজার ২২৩ টাকা, এক্রোসফ আইকিউ ভিভিটি ৮৬ হাজার ১২৫ টাকা, ক্লেরন হাইড্রোফবিক ১৮ হাজার ৮৫০ টাকা, সানকস্ট হাইড্রোফিলিক ৪ হাজার ৫৫০ টাকা, সানকস্ট পিএমএমএ ১ হাজার ৬২০ টাকা, মাইরাডো ১১ হাজার ৫০০ টাকা, ভিসটাজো ৫ হাজার ৪০০ টাকা, ওএসআই পিএমএমএ ১ হাজার ৫০০ টাকা, সানকস্ট হাইড্রোফিবিক ১৩ হাজার টাকা, ইভিও ভিসিআন আইসিএল ৫৫ হাজার ২০৩ টাকা, ইভিও ভিসিন টোরিক আইসিএল ৮২ হাজার ৪২৭ টাকা, ইভিও প্লাস ৫৫ হাজার ২০৩ টাকা, ইভিও প্লাস ভিসিন টোরিক ৮২ হাজার ৪২৭ টাকা, একেআরইওএস (মাইক্রো) ১৩ হাজার ৭২৪ টাকা, একেআরইওএস (এডভান্স) ৮ হাজার ২০০ টাকা, ইএন ভিসটা ১৫ হাজার ৫০০ টাকা, আইএসআইওএল পিএমএমএ ১ হাজার ৫৮৫ টাকা, এমডিআর পিএমএমএ ১ হাজার ৬০০ টাকা, এমডিআর হাইড্রোলিলিক ৪ হাজার ৫০০ টাকা, এমডিআর হাইডোফিলিক এ্যক্রেলিক ৬ হাজার ৯০০ টাকা, আইএসআইএএল ফোল্ডাবেল ৪ হাজার ৮০ টাকা, টেক-লেন্স ২৬ হাজার ৬০০ টাকা, টেক লেন্স (৮৭২) ৫৯ হাজার টাকা, টেক লেন্স (৮৭২ ওয়াই) ৬ হাজার ৪০০ টাকা, টেক লেন্স (৯০০) ৭ হাজার ৯৫০ টাকা, প্রিসিসেল সফট (পি ৩০২ এ) ১৫ হাজার ১৫০ টাকা, প্রিসিসেল সফট (পি ৩০২ এসি) ৯ হাজার ৮৫০ টাকা, হাইড্রোফিলিকসিএলএম ফ্লিক্স-৪২ ৫ হাজার ১০০ টাকা, অ্যস্ট্রেরি ৫৬ ইনজেক্টর ৭ হাজার টাকা, আইসোটেকনিক পিএমএমএ ২ হাজার ৩০০ টাকা, আইসোটিনক হাইড্রোফিলিক ৫ হাজার ৭০০ টাকা, আইসোটিনক হাইড্রোফিলিক ইয়েলো ১৫ হাজার টাকা, আইসোটিনক হাইড্রোফিলিক (আইবি ৬০) ১০ হাজার ৪০০ টাকা, আইসোটিনক হাইড্রোফিলিক (২৫ বিএসওয়াই) ১৩ হাজার ৫০০ টাকা, আইসোটিনক হাইড্রোফিলিক (এইচপি-২৫) ১১ হাজার ২০০ টাকা, সেনসার এইচডিওয়াই ৭ হাজার ৩২৫ টাকা, সেনসার-১ পিস ৯ হাজার ৫৯৭ টাকা, টেকনিস মনোফোকাল ১৬ হাজার ৫৬২ টাকা, টেকনিস সিমফনে ৮৯ হাজার ৫৪৭ টাকা, টেকনিস আইহেন্স ২২ হাজার ৯২২ টাকা, ডিজিআর হাইডোফোবিক ৬ হাজার ৯০৩ ও ৪ হাজার ৮৮ টাকা এবং ডিজিআর পিএমএমএ ১ হাজার ৬২০ টাকা।
যুক্তরাজ্যের এক্সপার্ট ১ হাজার ৫৮৫ টাকা, একুয়া ফ্রি ৯ হাজার ১৫৪ টাকা, হাউড্রো সেন্সে ইয়েলা ৪ হাজার ৩০০ টাকা, হাউড্রো সেন্সে ৩ হাজার ৯৯৪ টাকা, রেওয়ান ৫ হাজার টাকা, সি-ফ্লেক্স ৫ হাজার ৬০০ টাকা, সি-ফ্লেক্স (৫৭০ সি), ৪ হাজার ৮০৬ টাকা, রেওয়ান এসপেরিক ৫ হাজার ৭৭৫ টাকা, রেওয়ান হাইড্রোফোবিক ৭ হাজার ৩৫০ টাকা, রেওয়ান টোরিক ৩০ হাজার ৩৮০ টাকা, রেওয়ান টোরিফোকাল ৩৮ হাজার ৯৭৫ টাকা, আইসোটেকনিক পিএমএমএ ২ হাজার ৩০০ টাকা, আইসোটিনক হাইড্রোফিলিক ৫ হাজার ৭০০ টাকা, আইসোটিনক হাইড্রোফিলিক ইয়েলো ১৫ হাজার টাকা।
‘জাপানের নেক্স লয়েড এসপি ১৪ হাজার টাকা, নেক্স লয়েড এসপি ক্লিয়ার ১১ হাজার ৭০০ টাকা’।
‘জার্মানির সিটি লুসিয়া ৬২১ পিওয়াই ১৯ হাজার টাকা, সিটি লুসয়া ১০ হাজার টাকা, এটি টোরবি ৪৩ হাজার টাকা, এটি লিসা ট্রা টোরিক ১ লাখ ২৬ হাজার টাকা।’
‘বেলজিয়ামের ভিসকোট স্টেরিল ৪৬৫০ টাকা, আইএসওপিউর ২৫ হাজার ৫০০ টাকা, ফাইন ভিশন ৭২ হাজার ৫০০ টাকা, মাইক্রোপুরি-১২৩ ১৫ হাজার টাকা।’
‘হাঙ্গেরির জেড-ফ্লিক্স (৮৬০ ইয়েলো) ১৪ হাজার ৫০০ টাকা, জেড-ফ্লিক্স (৮৬০ পিএ ক্লিয়ার), জেড-ফ্লিক্স এইচবি অ্যপেরিক ১১ হাজার টাকা, জেড-ফ্লিক্স ক্লিয়ার ১০ হাজার টাকা।’
‘বারবাডোজের সফটেক-১ ২ হাজার ৮৫২ টাকা, সফটেক এইচডি ৪ হাজার ৬৩ টাকা, সফটেক এইচিডওয়াই ৫ হাজার ২৭৫ টাকা, সফটেক এইচপি-১ ৬ হাজার টাকা।’
গ্রিসের ‘ওরিজন’ ১১ হাজার ১০০ টাকা, সিডা-লেন্স ৫ হাজার ৩০০ টাকা।