চীনা জে-৮আইআই যুদ্ধবিমান: পুরনো দিনের গর্ব

টুইট ডেস্ক: আজ পালিত হচ্ছে J-8II Appreciation Day। এ দিনটিকে কেন্দ্র করে চীনের সামরিক উড্ডয়নপ্রেমীরা তাদের গর্বিত এক ফাইটার জেট—J-8II interceptor aircraft-এর প্রতি শ্রদ্ধা ও স্বীকৃতি জানাচ্ছেন। সময়ের পরিক্রমায় অনেক কিছু বদলালেও, এই বিমানটি এখনো পিপলস লিবারেশন আর্মি এয়ার ফোর্স (PLAAF)-এর সর্বোচ্চ গতিসম্পন্ন জেট হিসেবে সেবায় রয়েছে।

J-8II-এর ইতিহাস ও প্রযুক্তি

J-8II (উচ্চারণ: জিয়ান-৮ মার্ক-টু) হল চীনের নিজস্বভাবে ডিজাইন ও নির্মিত একটি উচ্চ গতির ইন্টারসেপ্টর (দ্রুত প্রতিক্রিয়াশীল যুদ্ধবিমান), যা মূলত শীতল যুদ্ধের সময়ে উচ্চগতি ও উচ্চতা ধরে রেখে শত্রুর বোমারু বিমান ধ্বংস করার উদ্দেশ্যে তৈরি করা হয়েছিল।

সর্বোচ্চ গতি: Mach 2.2 (প্রায় ২,৭০০ কিমি/ঘণ্টা)
সেবা প্রবেশ: ১৯৮০-এর দশকের শেষ দিকে

প্রধান বৈশিষ্ট্য- টুইন-ইঞ্জিন, লং রেঞ্জ রাডার, উচ্চতর সোনার সিগন্যাল ক্যাপচার সক্ষমতা, সোভিয়েত মিগ সিরিজের থেকে প্রভাবিত ডিজাইন। উৎপাদনকারী-শেনইয়াং এয়ারক্রাফ্ট কর্পোরেশন

কেন J-8II এখনো গুরুত্বপূর্ণ?

যদিও আধুনিক ৫ম প্রজন্মের স্টেলথ ফাইটার যেমন J-20 এখন চীনা বাহিনীর মেরুদণ্ড, তবুও J-8II আজও PLAAF-এর দ্রুততম অপারেশনাল জেট। এটি প্রমাণ করে, গতিশক্তির গুরুত্ব কখনো হারায় না, বিশেষত দীর্ঘ পরিসরে শত্রু শনাক্ত ও ধ্বংসে।

আধুনিক যুদ্ধক্ষেত্রে স্টেলথ, ইলেকট্রনিক ওয়ারফেয়ার, এবং বহুমুখী ক্ষমতার অভাব রয়েছে J-8II-তে।

শুধুমাত্র উচ্চগতি আজকের যুদ্ধনীতিতে যথেষ্ট নয়, তাই সীমিতভাবে এটি ব্যবহৃত হচ্ছে রাডার টেস্ট, সীমান্ত টহল, ও উচ্চতা পর্যবেক্ষণে।

একটি প্রতীকি গুরুত্ব

J-8II কেবল একটি ফাইটার নয়, এটি চীনের নিজস্ব এভিয়েশন শিল্পের একটি মাইলফলক—সেসময় যখন দেশটি সবে বৈশ্বিক সামরিক প্রযুক্তিতে জায়গা করে নিচ্ছিল। এটি চীনের প্রকৌশলীদের আত্মবিশ্বাস এবং ভবিষ্যতের উদ্ভাবনের ভিত্তি স্থাপন করেছে।

আজকের দিনে, J-8II appreciation শুধু একটি যুদ্ধবিমানকে নয়, বরং চীনের সামরিক এভিয়েশনের আত্মনির্ভরতার সূচনাকে শ্রদ্ধা জানানোর দিন। একসময়কার স্পিড কিং, আজ ইতিহাসের বুকে গর্বিত এক অধ্যায়।

আকাশে উড্ডয়নরত একটি J-8II, যার নীল-সাদা রং ও ধারালো নকশা আজও চীনা সামরিক শক্তির প্রতীক।