পদ্মা সেতু দুর্নীতি মামলা পুনঃতদন্তে যাচ্ছে দুদক
টুইট ডেস্ক: দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) বহুল আলোচিত পদ্মা সেতু দুর্নীতি মামলাটি পুনঃতদন্তের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সাবেক কমিশনের চূড়ান্ত প্রতিবেদনে অসঙ্গতি থাকার অভিযোগ তুলে মঙ্গলবার দুদক চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আবদুল মোমেন এই ঘোষণা দেন।
তিনি জানান, বিগত কমিশন গায়ের জোরে অভিযুক্তদের দায়মুক্তি দিলেও বর্তমান কমিশনের তদন্তে নতুন করে অপরাধের প্রমাণ মিলেছে। মামলাটির পুনঃতদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে দুদক উপপরিচালক মো. তানজির হাসিব সরকারকে।
২০১২ সালে কানাডার এসএনসি-লাভালিনকে পরামর্শক নিয়োগে দুর্নীতির ষড়যন্ত্রের অভিযোগে এই মামলায় সাতজনকে আসামি করা হয়। তবে ২০১৪ সালে ১৬টি কারণ দেখিয়ে তৎকালীন দুদক চূড়ান্ত প্রতিবেদন দিয়ে মামলাটি নিষ্পত্তি করে।
চেয়ারম্যান বলেন, পরামর্শক নিয়োগে দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারা ও দণ্ডবিধির ১২০(বি) অনুযায়ী ঘুষ লেনদেনের ষড়যন্ত্রমূলক কর্মকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে।
আসামিদের মধ্যে আছেন সেতু বিভাগের সাবেক সচিব মোশাররাফ হোসাইন ভূঁইয়া, প্রকৌশলী কাজী ফেরদাউস, রিয়াজ আহমেদ জাবের এবং এসএনসি-লাভালিনের সাবেক কর্মকর্তারা।
প্রসঙ্গত, বিশ্বব্যাংক ২০১১ সালে পদ্মা সেতু প্রকল্পে অর্থায়ন অনুমোদন করলেও দুর্নীতির অভিযোগে অর্থ ছাড় করেনি। পরে সরকার নিজস্ব অর্থায়নে প্রায় ৩০ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে সেতুটি নির্মাণ করে।
দুদক বলছে, তদন্তে অপরাধের নতুন তথ্য পাওয়া গেলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং দায়ীদের বিচারের মুখোমুখি করা হবে।