ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ইসরায়েলের ব্যাপক প্রাণহানির দাবি
টুইট প্রতিবেদন: মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে যুদ্ধাবস্থার ইঙ্গিত—ইরানের ব্যাপক ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ইসরায়েলে ৬ জন জেনারেলসহ কয়েকশ সামরিক ও বেসামরিক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে বলে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক সূত্র দাবি করেছে।
এই হামলাকে ইরান বলছে “যুদ্ধাপরাধের জবাব”। অন্যদিকে ইসরায়েল এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে হতাহতের সংখ্যা স্বীকার না করলেও গোটা দেশজুড়ে জরুরি সতর্কাবস্থা জারি করা হয়েছে।
কীভাবে হামলা হয়
রবিবার ২৮ জুন গভীর রাতে ইরান একযোগে ব্যালিস্টিক মিসাইল, সশস্ত্র ড্রোন এবং ক্রুজ মিসাইল ব্যবহার করে ইসরায়েলের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সামরিক ও নিরাপত্তা স্থাপনায় হামলা চালায়।
লক্ষ্যবস্তুগুলোর মধ্যে ছিল—মোসাদের কেন্দ্রীয় হেডকোয়ার্টার, শিন বেট (গোয়েন্দা সংস্থা)-এর কার্যালয়, বিমান ও নৌ ঘাঁটি, তেল আবিবের কাছে বেসামরিক বসতি এলাকা।ি
ক্ষয়ক্ষতির দাবি (ইরানি সূত্র অনুযায়ী)
জেনারেল ৬ জন
মোসাদ কর্মকর্তা ৩২ জন
শিন বেট এজেন্ট ৭৮ জন
নৌবাহিনী সদস্য ২৭ জন
বিমান বাহিনী সদস্য ১৯৮ জন
সেনাসদস্য ৪৬২ জন
বেসামরিক নাগরিক ৪২৩ জন
আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া
জাতিসংঘ মহাসচিব গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছেন, “এই পরিস্থিতি আরেকটি পূর্ণমাত্রার যুদ্ধের দিকে ধাবিত হতে পারে।”
যুক্তরাষ্ট্র ও ইইউ দুই পক্ষই “উত্তেজনা হ্রাস” এর আহ্বান জানিয়েছে এবং পারমাণবিক স্থাপনাগুলো যেন হামলার বাইরে থাকে সে বিষয়ে সতর্কতা দিয়েছে।
ইসরায়েলের অবস্থান
ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (IDF) এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, “দেশের ভূখণ্ডের প্রতি প্রত্যক্ষ আক্রমণের জবাব অত্যন্ত কঠোরভাবে দেওয়া হবে।”
সূত্র মতে, ইসরায়েলও পাল্টা হামলার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে এবং লেবানন, সিরিয়া ও ইরান সীমান্তে সেনা মোতায়েন বাড়ানো হয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই হামলা ইসরায়েল-ইরান ছায়াযুদ্ধকে সরাসরি যুদ্ধের দিকে নিয়ে যেতে পারে। অঞ্চলজুড়ে মার্কিন ঘাঁটিগুলোও হুমকির মুখে পড়তে পারে।
এছাড়া, হামাস ও হিজবুল্লাহর মতো সংগঠন এই উত্তেজনায় জড়িত হলে পুরো অঞ্চল অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠতে পারে।
এই প্রতিবেদনটির অনেক তথ্য ইরানি সূত্র ও রাজনৈতিকভাবে প্রভাবিত মিডিয়াতে প্রকাশিত হয়েছে। এখনও নিরপেক্ষ আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থাগুলোর পক্ষ থেকে পুরোপুরি তথ্য নিশ্চিত হয়নি।