ট্রাম্প-নেতানিয়াহু সম্পর্কের নতুন অধ্যায়

ইসরায়েলের বিচার ব্যবস্থার সমালোচনায় ট্রাম্প: নেতানিয়াহুকে সমর্থন, প্রসিকিউটরদের বিরুদ্ধে অভিযোগ

টুইট ডেস্ক: বর্তমান মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আবারও আলোচনায়, এবার ইসরায়েলের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর চলমান দুর্নীতির মামলাকে “রাজনৈতিক প্রতিহিংসা” বলে অভিহিত করে। তিনি নেতানিয়াহুর প্রতি প্রকাশ্য সমর্থন জানিয়ে ইসরায়েলের প্রসিকিউশন ব্যবস্থার কড়া সমালোচনা করেছেন।

এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প বলেন;

“নেতানিয়াহু একজন মহান নেতা। তাঁকে টার্গেট করা হচ্ছে শুধুই রাজনৈতিক কারণে। ঠিক যেমনটা আমার সঙ্গেও হচ্ছে। এটা এক ধরনের হান্ট।”

তিনি আরও বলেন, “প্রসিকিউটররা চান না নেতানিয়াহু আবার নেতৃত্বে ফিরুক। এটি ন্যায়বিচার নয়, বরং একটি রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র।”

ইসরায়েলের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু বর্তমানে ঘুষ গ্রহণ, প্রতারণা এবং বিশ্বাসভঙ্গের তিনটি গুরুতর মামলায় অভিযুক্ত। মামলাগুলোর শুনানি এখনো চলমান। নেতানিয়াহু বরাবরই অভিযোগগুলো অস্বীকার করে এসেছেন এবং দাবি করেছেন, “এটি একটি উইচ হান্ট — রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ষড়যন্ত্র।”

বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ট্রাম্পের এই সমর্থন শুধু ব্যক্তিগত সম্পর্কের বহিঃপ্রকাশ নয়, বরং তার নিজস্ব রাজনৈতিক বার্তা বহন করে। তিনি নিজেও একাধিক ফৌজদারি মামলার মুখোমুখি, যেগুলোকে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা বলে অভিহিত করেন। তাই নেতানিয়াহুর প্রতি তার সহানুভূতি তার নিজের অবস্থানকে আরও জোরালোভাবে তুলে ধরার কৌশলও হতে পারে।

ট্রাম্প প্রশাসনের সময় যুক্তরাষ্ট্র তাদের দূতাবাস তেলআবিব থেকে জেরুজালেমে স্থানান্তর করে, যা নেতানিয়াহুর জন্য একটি বড় কূটনৈতিক জয় হিসেবে বিবেচিত হয়। সেই থেকে তাদের সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ হয়ে ওঠে।

ট্রাম্পের এই প্রকাশ্য সমর্থন এবং ইসরায়েলি বিচার ব্যবস্থার সমালোচনা ইসরায়েলের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে নতুন মাত্রা যোগ করেছে। নেতানিয়াহুর রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ এবং চলমান বিচার প্রক্রিয়ার উপর এর কী প্রভাব পড়ে — তা এখন সময়ের অপেক্ষা।