ইউক্রেনে ড্রোন-মিসাইল হামলা, নিহত এফ-১৬ পাইলট
বিশ্ব ডেস্ক: ইউক্রেনজুড়ে আবারও ভয়াবহ হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। প্রায় পুরো রাত জুড়ে আকাশে বাজতে থাকে বিমান হামলার সাইরেন।
ইউক্রেনের আকাশে দেখা গেছে মোট ৪৭৭টি ড্রোন—এর বেশিরভাগই ছিল রাশিয়া-ইরানের তৈরি শাহেদ কামিকাজে ড্রোন। একইসাথে ছোড়া হয় ৬০টি বিভিন্ন ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র।
এই হামলার লক্ষ্য ছিল ইউক্রেনের বাসযোগ্যতা টিকিয়ে রাখা সমস্ত অবকাঠামো। মধ্য ইউক্রেনের স্মিলা শহরের একটি আবাসিক ভবনে সরাসরি আঘাত হানে ক্ষেপণাস্ত্র। এতে একজন শিশু আহত হয়। জরুরি সেবাদানকারী সংস্থাগুলো ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোতে দ্রুত সাড়া দিচ্ছে।
“রাতারাতি রাশিয়ার একটি বৃহৎ বিমান হামলা প্রতিহত করার সময় ইউক্রেনীয় F-16 পাইলট ম্যাকসিম উস্তিমেনকো নিহত হন। তার জেটটি আঘাত হানার আগে তিনি ৭টি লক্ষ্যবস্তু ভূপাতিত করেছিলেন। তিনি বিমানটিকে জনবহুল এলাকা থেকে দূরে সরিয়ে নিয়ে গিয়েছিলেন কিন্তু সময়মতো বেরিয়ে আসতে পারেননি”
এই ভয়াল রাতে আকাশ রক্ষা করতে গিয়ে ইউক্রেনের একজন সাহসী এফ-১৬ পাইলট, মাকসিম উস্তিমেঙ্কো, প্রাণ হারিয়েছেন। হামলার সময় তিনি ৭টি শত্রু বিমান লক্ষ্যবস্তু ধ্বংস করেন।
প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি তার মৃত্যুর কারণ খতিয়ে দেখতে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন এবং শোক প্রকাশ করেছেন।
জেলেনস্কি আরও জানান, এই সপ্তাহেই রাশিয়া ইউক্রেনের দিকে ছুড়েছে ১১৪টির বেশি ক্ষেপণাস্ত্র, ১,২৭০টিরও বেশি ড্রোন এবং প্রায় ১,১০০টি গ্লাইড বোমা। তিনি অভিযোগ করেন, পুতিন শান্তির আহ্বানে কর্ণপাত না করে যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত বহু আগেই নিয়েছেন।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের দাবি, যুদ্ধ থামাতে হলে আগ্রাসনের বিরুদ্ধে চাপ ও প্রতিরক্ষা—উভয়ই জরুরি। বিশেষ করে, ইউক্রেনের আকাশ প্রতিরক্ষা জোরদার করতে যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি আধুনিক প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা প্রয়োজন। ইউক্রেন এ ধরনের সিস্টেম কিনতে প্রস্তুত এবং এর জন্য যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ ও অংশীদারদের রাজনৈতিক সদিচ্ছা ও সমর্থনের ওপর নির্ভর করছে।
জেলেনস্কি শেষ পর্যন্ত সবাইকে ধন্যবাদ জানান যারা ইউক্রেনের পাশে দাঁড়িয়েছে এবং জানান, “আমাদের আকাশ প্রতিরক্ষাই এখন জীবন বাঁচানোর প্রধান উপায়।”