ইরানের হাইপারসনিক হামলায় কাঁপছে মধ্যপ্রাচ্য!

ইরানের হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র নিয়ে শঙ্কা: যুক্তরাষ্ট্র-মধ্যপ্রাচ্যে পূর্ণ কর্মকর্তার উপস্থিতি নষ্ট হতে পারে

বিশ্ব ডেস্ক: ইরানের রেভলিউশনারি গার্ড কর্পস দাবি করেছে যে তারা Fattah‑1 নামক হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে ইসরায়েল দিকে হামলা চালিয়েছে ।

তবে, যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে পেন্টাগন হুঁশিয়ারি দিয়েছে—এই ক্ষেপণাস্ত্রগুলো যদি চালু হয়, তবে মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধ উপস্থিতি সম্পূর্ণরূপে বিধ্বস্ত করে দিতে পারে।

পেন্টাগন উল্লেখ করেছে যে বর্তমানে মার্কিন বা ইসরায়েল কোনো হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি বা সঞ্চালন করছে না ।
তাঁদের মতে, এ ধরনের অস্ত্রের প্রাধান্য এখনই নেই—এতে মধ্যপ্রাচ্যে তাদের গতি, প্রতিহত করতে সক্ষমতা কিংবা প্রস্তুতি সীমাবদ্ধ।

হাইপারসনিক বলতে বোঝায় সেই ক্ষেপণাস্ত্র যা Mach 5 বা তার উপরে, অর্থাৎ শব্দের গতি থেকে কমপক্ষে ৫ গুণ দ্রুত ।

তবে অনেকে বলছেন, অনেক ক্ষেত্রে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হাইপারসনিক স্পিডে চলে কিন্তু তেমন ম্যনুভারেবল নয়, অর্থাৎ আকাশ প্রতিরক্ষা থেকে পালাতে সক্ষমতা কম ।

ইসরায়েলের Iron Dome, David’s Sling, এবং Arrow 2/3 সিস্টেম ছিল ও আছে মূল প্রতিরক্ষা লেয়ার, যা ইরানের রগবেগ্রস্থ ক্ষেপণাস্ত্রের বিরুদ্ধে কার্যকর ।
তবে, যেহেতু তারা নিজে হাইপারসনিক প্রযুক্তি তৈরি করছে না, তাই সন্দেহের অবকাশ বাড়ছে: তারা এবার কি পাল্টা দিতে পারবে?

বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন—যদি এই প্রযুক্তি কার্যকরভাবে কাজে আসে, তাহলে এটি মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্র এবং ইস্রায়েলের উপস্থিতির জন্য প্রচণ্ড হুমকি হয়ে দাঁড়াবে।
তবে বর্তমান পর্যায়ে ইরানের দাবির কোন প্রমাণ পাওয়া যায়নি, এবং তাদের অস্ত্র সিস্টেমগুলো সরাসরি “true hypersonic” হিসেবে চিহ্নিত হয়নি ।

ইরানের দাবি হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার
পেন্টাগনের মন্তব্য সত্য হলে US‑এর উপস্থিতি ধ্বংস হতে পারে।

এই সংকট এখনও ভিত্তিই অনিশ্চিত। ভবিষ্যতে যদি সত্যিই চালু হয় এবং কার্যকর হয়, তাহলে এটা ভয়াবহ নিরাপত্তা বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে। তাই, বর্তমানে এটি একটি সম্ভাব্য হুমকি—যা এখনও পুরোপুরি নিশ্চিত নয়।