গাজায় অগ্রগতির দাবি ট্রাম্পের, ইরান হামলায় ‘ইতিবাচক প্রভাব’
গাজা প্রসঙ্গে ‘উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি’ – ট্রাম্পের দাবি, ইরান হামলা মধ্যপ্রাচ্যে ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে
বিশ্ব ডেস্ক: নেদারল্যান্ডসে অনুষ্ঠিত ন্যাটো শীর্ষ সম্মেলনে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মন্তব্য করেছেন যে, গাজা পরিস্থিতির উন্নতির লক্ষ্যে “উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি” হচ্ছে।
একইসঙ্গে তিনি ইঙ্গিত দেন, যুক্তরাষ্ট্রের সাম্প্রতিক ইরান-বিরোধী সামরিক পদক্ষেপ মধ্যপ্রাচ্যে “ইতিবাচক কৌশলগত প্রভাব” ফেলতে পারে।
কী বললেন ট্রাম্প?
ট্রাম্প বলেন:
“আমরা গাজায় অনেক অগ্রগতি দেখতে পাচ্ছি। এটি একটি জটিল পরিস্থিতি, কিন্তু আমাদের ইরান নীতির প্রভাব সেখানে ইতিবাচক ভূমিকা রাখছে।”
তিনি আরও জানান, ওয়াশিংটন ইসরায়েলের নিরাপত্তা ও ফিলিস্তিনি জনগণের মানবিক অবস্থার উন্নয়নের জন্য কাজ করছে।
সাম্প্রতিক সময়ে যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যে নতুন করে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে।
ইরানের পরমাণু স্থাপনা লক্ষ্য করে মার্কিন ড্রোন হামলা হয়েছে বলে সংবাদ মাধ্যম দাবি করেছে।
এই উত্তেজনার মধ্যেই ট্রাম্প প্রশাসন গাজায় একটি সম্ভাব্য অস্ত্রবিরতি ও পুনর্গঠনের পরিকল্পনা নিয়ে কূটনৈতিক তৎপরতা বাড়িয়েছে।
মধ্যপ্রাচ্যের প্রতিক্রিয়া-
ইসরায়েল: ট্রাম্পের মন্তব্যকে স্বাগত জানালেও গাজায় হামলা বন্ধে তাদের অবস্থান এখনো কঠোর।
ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ: যুক্তরাষ্ট্রের “একচেটিয়া পক্ষপাতমূলক” নীতির সমালোচনা করেছে। তারা বলছে, গাজায় মানবিক সহায়তা ছাড়া শুধু রাজনৈতিক বক্তব্যে পরিবর্তন সম্ভব নয়।
ইরান: ট্রাম্পের মন্তব্যকে “অযৌক্তিক এবং আগ্রাসী প্রচারণা” হিসেবে আখ্যায়িত করেছে।
বিশ্লেষকদের মতে, ট্রাম্পের এই কৌশল ইরানকে কোণঠাসা করতে পারে, তবে এতে গাজা ও পুরো অঞ্চলের নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা কতটা আসবে, তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের বক্তব্য একদিকে যেমন আশাবাদের বার্তা দেয়, অন্যদিকে তা মধ্যপ্রাচ্যের জটিল ভূরাজনৈতিক সমীকরণকে আরও উত্তপ্ত করে তুলতে পারে।