যুক্তরাষ্ট্র ইরানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চায় না

বিশ্ব ডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন, ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় আকস্মিক হামলা চালালেও যুক্তরাষ্ট্র ইরানের সরকারের পতন চায় না এবং যুদ্ধ শুরু করেনি।

তাঁদের মতে, এই অভিযান ছিল কেবল ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি থামাতে একটি ‘সীমিত ও প্রতিরোধমূলক’ পদক্ষেপ।

কী বলেছেন JD Vance?

রবিবার Meet the Press-এ এক সাক্ষাৎকারে ভাইস প্রেসিডেন্ট ভ্যান্স বলেন:

> “আমরা ইরানের জনগণের বিরুদ্ধে নই। আমরা যুদ্ধ চাই না। আমরা শুধু ইরানের পারমাণবিক হুমকি প্রতিহত করছি।”

তিনি জানান, এই হামলা ছিল অত্যন্ত সুনির্দিষ্ট ও প্রযুক্তিগতভাবে লক্ষ্যভিত্তিক, যা ইরানের পরমাণু কার্যক্রমকে কয়েক বছর পিছিয়ে দিয়েছে।

পেন্টাগনের ভাষ্য

যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ পেন্টাগনে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন:

> “এই অপারেশন ইরানের সরকারের বিরুদ্ধে নয়, বরং তাদের পরমাণু অবকাঠামোর বিরুদ্ধে। আমরা কোনো ‘রেজিম চেঞ্জ’ চাই না।”

তিনি জানান, ‘অপারেশন মিডনাইট হ্যামার’ নামে পরিচিত এই অভিযানে মার্কিন B-2 বোমার এবং ক্রুজ মিসাইল ব্যবহার করে ইরানের ফোর্দো, নাটাঞ্জ ও ইসফাহান পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালানো হয়।

যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান

যুক্তরাষ্ট্র এখনো ইরানের সঙ্গে সরাসরি যুদ্ধ পরিস্থিতিতে নেই।

হামলা আইনগত ভিত্তিতে অনুমোদিত এবং কংগ্রেসের সঙ্গে সমন্বয় করে করা হয়েছে।

ইরান যদি পরমাণু কর্মসূচি বন্ধ করে, তবে যুক্তরাষ্ট্র আলোচনার পথ উন্মুক্ত রাখতে চায়।

এই অভিযানের পর বিশ্বজুড়ে কূটনৈতিক উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। তবু যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে বারবার আশ্বাস দেওয়া হচ্ছে যে, এই হামলার লক্ষ্য ছিল শুধুই নির্বাচিত পরমাণু স্থাপনা, এবং জনগণ বা সামরিক শাসনব্যবস্থার বিরুদ্ধে নয়।