পাকিস্তান আকাশসীমা অনুমোদন দেয়নি, যুক্তরাষ্ট্রের বি-২ বোমারু বিমান ইরানে হামলা চালিয়েছে
বিশ্ব ডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্রের বি-২ বোমারু বিমান ইরানের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ পারমাণবিক স্থাপনা—ফোর্ডো, ইসফাহান এবং নাতাঞ্জ—এ আক্রমণ চালিয়েছে। এই হামলার জন্য বি-২ বোমারু বিমান ব্যবহার করা হয়েছে, যা অত্যাধুনিক স্টিলথ প্রযুক্তিতে সজ্জিত এবং শক্তিশালী বোমা বহন করতে সক্ষম।
এই হামলার মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র ইরানের পারমাণবিক সক্ষমতা ধ্বংসের লক্ষ্যে একটি বড় পদক্ষেপ নিয়েছে।
স্যাটেলাইট চিত্রে ইরানের ভূগর্ভস্থ ফোরডো পারমাণবিক ক্ষেত্র । ছবি : রয়টার্স
রবিবার (২২ জুন) এমন কোনো নির্ভরযোগ্য আন্তর্জাতিক সংবাদসূত্র পাওয়া যায়নি যা নিশ্চিতভাবে বলে যে, পাকিস্তান তার আকাশসীমা যুক্তরাষ্ট্রের বি-২ বোমারু বিমান, যুদ্ধজাহাজ বা সাবমেরিনের জন্য খুলে দিয়েছে। তবে, যুক্তরাষ্ট্র সম্প্রতি ইরানের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ পারমাণবিক স্থাপনা—ফোর্ডো, ইসফাহান এবং নাতাঞ্জ—এ আক্রমণ চালিয়েছে। এই হামলার জন্য বি-২ বোমারু বিমান এবং টোমাহক ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে।
এই হামলার বিষয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিয়েছেন এবং দাবি করেছেন যে, ইরানের পারমাণবিক স্থাপনা “সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস” করা হয়েছে।
এই হামলার পর ইরান ক্ষোভ প্রকাশ করেছে এবং প্রতিশোধের হুমকি দিয়েছে। ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় হামলাকে “অত্যন্ত অগ্রহণযোগ্য” বলে অভিহিত করেছে এবং “শান্তিপূর্ণ পারমাণবিক স্থাপনা” আক্রমণের জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে দায়ী করেছে। ইরান আরও বলেছে, এই হামলার “চিরস্থায়ী পরিণতি” হবে। ইরানের পরমাণু শক্তি সংস্থা জানিয়েছে, তারা তাদের “জাতীয় শিল্প” উন্নয়ন থামতে দেবে না।
যদিও পাকিস্তান সরাসরি এই হামলার অংশীদার নয়, তবে সাম্প্রতিক সময়ে পাকিস্তান থেকে বি-২ বোমারু বিমান গুয়াম এবং ডিয়েগো গার্সিয়া (ভারত মহাসাগরের একটি কৌশলগত মার্কিন সামরিক ঘাঁটি) অভিমুখে রওনা হয়েছে, যা ইঙ্গিত দেয় যে পাকিস্তানের আকাশসীমা ব্যবহার করা হতে পারে। তবে, এই বিষয়ে কোনো নির্ভরযোগ্য তথ্য পাওয়া যায়নি।