সোরোকা হাসপাতাল লক্ষ্য করে ইরানের হামলা: ইসরায়েলের পাল্টা প্রতিশোধ

আন্তর্জাতিক সংবাদ: ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলীয় বিয়ারশেভা শহরে অবস্থিত সোরোকা মেডিকেল সেন্টার-এ আজ বৃহস্প‌তিবার (১৯ জুন) ভোরে ইরান একটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে।

ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এটি একটি বেসামরিক চিকিৎসা স্থাপনায় সরাসরি হামলা এবং এটি স্পষ্টতই একটি যুদ্ধাপরাধ।

হাসপাতালের পাঁচতলা ভবনের একাংশ ধ্বংস হলেও আগাম সতর্কতায় প্রায় ৮৫০ রোগীকে নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হয়। ফলে হতাহতের সংখ্যা কম—তবে ৩২ থেকে ৪০ জন আহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর।

ইসরায়েলি প্রতিক্রিয়া:

প্রধানমন্ত্রী বেনজামিন নেতানিয়াহু হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “এই হামলার মূল্য ইরানকে দিতে হবে।”

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ একে মানবতার ওপর আঘাত এবং যুদ্ধাপরাধ হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন।

ইরানের ব্যাখ্যা:

ইরান দাবি করেছে, তারা মূলত “সেনা ও গোয়েন্দা স্থাপনা” লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র ছুঁড়েছে, হাসপাতাল লক্ষ্য ছিল না। তবে, সামরিক সূত্র বলছে, সোরোকা হাসপাতাল সরাসরি টার্গেট করা হয়েছে, যা আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘনের শামিল।

ইসরায়েলের পাল্টা আঘাত:

ইসরায়েল ইতিমধ্যেই ইরানের আরাক পারমাণবিক স্থাপনায় বিমান হামলা চালিয়েছে। প্রাথমিকভাবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা না গেলেও, আঞ্চলিক উত্তেজনা বেড়েছে বহুগুণ।

বিশ্ব প্রতিক্রিয়া:

যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন ঘটনার নিন্দা জানিয়েছে।

চীন ও রাশিয়া উভয়পক্ষকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছে।

জাতিসংঘ ‘স্বাস্থ্য অবকাঠামোতে হামলা’কে গভীর উদ্বেগের বিষয় হিসেবে চিহ্নিত করেছে।

সমালোচকরা বলছেন, গাজায় ইসরায়েল ৩৬টি হাসপাতাল সম্পূর্ণ বা আংশিক ধ্বংস করেছে, তবুও তখন আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় নীরব ছিল। এই বৈসাদৃশ্য মানবাধিকার প্রশ্নে বিশ্বে নতুন বিতর্কের জন্ম দিয়েছে।

এই হামলা শুধু ইরান-ইসরায়েল দ্বন্দ্ব নয়, বরং আন্তর্জাতিক মানবিক আইন, যুদ্ধের নৈতিকতা এবং গ্লোবাল প্রতিক্রিয়ার বৈপরীত্যকে সামনে এনে দিয়েছে।