নওগাঁয় বিদেশি ফলের চারা পেলেন কৃষকরা

দাবীর প্রকল্পে কৃষকদের হাতে নতুন সম্ভাবনা: সাপাহারে ‘দাবী মৌলিক উন্নয়ন সংস্থা’র উদ্যোগে বিদেশি উচ্চমূল্যের ফল-ফসলের চারা বিতরণ

নিজস্ব সংবাদদাতা: নওগাঁ জেলার সাপাহার উপজেলায় ‘দাবী মৌলিক উন্নয়ন সংস্থা’র উদ্যোগে কৃষকদের মাঝে উচ্চমূল্যের বিদেশি ফল-ফসলের চারা বিতরণ করা হয়েছে।

এই কর্মসূচি বাস্তবায়িত হয় ‘রুরাল মাইক্রোএন্টারপ্রাইজ ট্রান্সফরমেশন (RMTP)’ প্রকল্পের আওতাধীন “উচ্চমূল্যের ফল-ফসলের জাত সম্প্রসারণ ও বাজার উন্নয়ন” শীর্ষক উপ-প্রকল্পের মাধ্যমে।

চারা বিতরণ অনুষ্ঠানে ৪০ জন কৃষককে ৪,০০০টি ‘জি-৯’ জাতের কলা চারা, ১২ জনকে ১৩৫টি পার্সিমন (বিদেশি খেজুর জাতীয় ফল), ১৮ জনকে ১৮০টি এভোকাডো, ৪০ জনকে ১২০টি তেজপাতা, ৭ জনকে ৩৫টি জাপানী মিয়াজাকী রেড কিং আম গাছের চারা ও ১০ জনকে ১০,০০০টি এসপারাগাসের বীজ দেওয়া হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সাপাহার উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা মোছাঃ শাপলা খাতুন। বিশেষ অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত কৃষি কর্মকর্তা মোঃ মনিরুজ্জামান, দাবী সংস্থার সহকারী পরিচালক (অডিট) মোঃ দেলোয়ার হোসেন, জোনাল ম্যানেজার মোঃ হরুন-অর-রশিদ, ফোকাল পার্সন মোঃ দুরুল হুদা মন্ডল এবং প্রকল্প সমন্বয়কারী মোঃ হাসানুজ্জামান।

অনুষ্ঠানে কৃষি কর্মকর্তা শাপলা খাতুন বলেন,

“উচ্চমূল্যের এসব বিদেশি ফল চাষ সফল হলে তা ভবিষ্যৎ সরকারি প্রকল্প ও গবেষণার জন্য গুরুত্বপূর্ণ হবে। তাই চাষাবাদের তথ্য যথাযথভাবে সংরক্ষণ করতে হবে।”

অতিরিক্ত কৃষি কর্মকর্তা মোঃ মনিরুজ্জামান বলেন,

“যেহেতু এ গাছগুলো বিদেশি প্রজাতির, তাই এসব চারা আলাদা পদ্ধতিতে রোপণ করতে হবে। জমি প্রস্তুতের সময় গোবর ও রাসায়নিক সার মিশিয়ে অন্তত ২ সপ্তাহ পর রোপণ করা উচিত। চারার রোগ-বালাই দেখা দিলে সঙ্গে সঙ্গে উপজেলা কৃষি অফিসে যোগাযোগ করতে হবে।”

দাবী মৌলিক উন্নয়ন সংস্থার সহকারী পরিচালক মোঃ দেলোয়ার হোসেন বলেন,

“পিকেএসএফ-এর সহায়তায় আমরা প্রান্তিক চাষীদের মাঝে উন্নত জাতের ফল চাষে উৎসাহ দিচ্ছি। এর মাধ্যমে অর্থনৈতিক উন্নয়নের দ্বার উন্মোচিত হবে।”

প্রকল্পের ফোকাল পার্সন মোঃ দুরুল হুদা মন্ডল বলেন,

“এই চারাগুলো যত দ্রুত রোপণ ও পরিচর্যা করা হবে, তত দ্রুতই এ অঞ্চলে উচ্চমূল্যের ফলের জাত সম্প্রসারণ ও বাজার উন্নয়ন সম্ভব হবে। আমরা আশা করি, এসব ফল চাষ অন্য চাষীদের মধ্যেও ছড়িয়ে পড়বে।”

এ উদ্যোগ স্থানীয় কৃষকদের মাঝে নতুন আশার সঞ্চার করেছে। তারা বলছেন, সঠিক পদ্ধতিতে চাষ করে ভালো ফলন পেলে এটি ভবিষ্যতে আয়ের নতুন উৎস হবে।