মহাবিপদে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা, ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরোধ অস্ত্র তলানিতে
টুইট ডেস্ক: মধ্যপ্রাচ্যে ইরানের সঙ্গে চলমান সংঘাতের মধ্যে ইসরায়েলের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরোধ ব্যবস্থা ঘাটতির মুখে পড়েছে। বুধবার (১৮ জুন) মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের এক প্রতিবেদনে তএ তথ্য জানানো হয়েছে।
ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসরায়েলের দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরোধে ব্যবহৃত “Arrow Interceptor” সিস্টেমের মজুদ উল্লেখযোগ্যভাবে কমে গেছে। এ পরিস্থিতিকে ইসরায়েলের জন্য কৌশলগতভাবে বিপজ্জনক হিসেবে দেখা হচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা কর্মকর্তারা জানান, ওয়াশিংটন কয়েক মাস ধরেই ইসরায়েলের এই ঘাটতির বিষয়ে অবগত এবং ইতিমধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের স্থল, সমুদ্র ও আকাশপথে প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা দিয়ে ইসরায়েলকে সহায়তা করছে। তবে, মার্কিন প্রতিরক্ষা বিশ্লেষক টম কারাকো সতর্ক করে বলেছেন, ইসরায়েল বা যুক্তরাষ্ট্র কেউই দীর্ঘ সময় ধরে নিরবচ্ছিন্নভাবে ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিহত করতে পারবে না। দ্রুত সমাধান ছাড়া এভাবে চলা সম্ভব নয়।
এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো মন্তব্য না করলেও ইসরায়েল ডিফেন্স ফোর্স (IDF) বলছে, যেকোনো পরিস্থিতির জন্য তারা প্রস্তুত রয়েছে। এদিকে Arrow interceptor প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান Israel Aerospace Industries এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।
এদিকে, ইরানের সাম্প্রতিক পাল্টা হামলার পর বিশ্বের বিভিন্ন দেশে আটকে পড়া প্রায় ৫০ হাজার ইসরায়েলিকে দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য একটি উদ্ধার অভিযান শুরু করেছে তেলআবিব। জাতীয় বিমান সংস্থা এল আলের একটি ফ্লাইট ইতোমধ্যে সাইপ্রাসের লারনাকা থেকে ইসরায়েলের বেন গুরিয়ন বিমানবন্দরে অবতরণ করেছে। দেশটির পরিবহন মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, নিরাপত্তা বিশ্লেষণ ও ঝুঁকির মাত্রা বিবেচনা করে উদ্ধার কার্যক্রম ধাপে ধাপে পরিচালিত হচ্ছে।
এদিকে বিশ্লেষকরা মনে করছেন, যুদ্ধ পরিস্থিতি দীর্ঘায়িত হলে শুধু ইসরায়েল নয়, যুক্তরাষ্ট্রকেও কৌশলগতভাবে বিপদে পড়তে হতে পারে। কারণ ইন্টারসেপ্টর সরবরাহে যুক্তরাষ্ট্রও সীমিত মজুদ নিয়ে কাজ করছে। এই পরিস্থিতিতে মধ্যপ্রাচ্যের স্থিতিশীলতা আরও অনিশ্চয়তায় পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।