রাজশাহী সদরে কপাল পুড়তে পারে এমপি বাদশার

নিজস্ব প্রতিবদেক : ১৪ দলীয় জোটের শরিক হিসাবে টানা তিনবার রাজশাহী-২ (সদর) আসনটি ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশাকে ছেড়ে দিয়েছে আওয়ামী লীগ। কিন্তু এবার আসনটি নিজেদের দখলে রাখতে চায় ক্ষমতাসীন দলের স্থানীয় নেতাকর্মীরা। এতে কপাল পুড়তে পারে বর্তমান সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশার।

তবে সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশার আশা, আসন ভাগাভাগি হলে আবারও ১৪ দলের প্রার্থী হয়ে নৌকা প্রতীকে নির্বাচনে অংশ নেবেন তিনি।

সংশ্লিষ্টরা জানান, ২০০৮ সাল থেকে রাজশাহী-২ (সদর) আসনে টানা তিনবার এমপি নির্বাচিত হন ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা। জোটের প্রধান শরিক দল হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ এই আসনটি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিজেদের দখলে রাখতে চায় আওয়ামী লীগ। ফলে এবারের ভোটযুদ্ধ যে খুব একটা সহজ হবে না; তা আঁচ করতে পারছেন ফজলে হোসেন বাদশা।

তবে দলের হাইকমান্ড থেকে যে কোনো মুহূর্তে হতে পারে ১৪ দলের সঙ্গে আসন ভাগাভাগির বিষয়ে সিদ্ধান্ত। এতে আরেক দফা ১৪ দলের প্রার্থী হয়ে নির্বাচন করার আশা তার। আসন ভাগাভাগি হলে নৌকা প্রতীক নিয়েই ভোটে লড়তে চান তিনি।

ফজলে হোসেন বাদশা জানান, গত তিনটি নির্বাচনে আমাকে দলীয় থেকে নমিনেশন দেয়া হয়। এরপর আমাকে জোট থেকে প্রার্থী করা হয়। এবারও আমি প্রার্থী হয়েছি। আমাকে ঊর্ধ্বমহল থেকে নিরুৎসাহিত করা হয়নি। আমি আশাবাদী, এবারও আমাকে জোটের প্রার্থী করা হবে।

এ দিকে রাজশাহী-২ আসনের আওয়ামী লীগ মনোনিত প্রার্থী মোহাম্মদ আলী কামাল জানান, গুরুত্বপূর্ণ এই আসন কোনোভাবেই হাতছাড়া করতে চায় না আমরা। সবাই প্রত্যাশা করেন এ আসনে যেন নৌকা প্রতীক নিয়ে আওয়ামী লীগের বিজয়ী হয়। এ বিষয়টি আমরা আগে থেকে কেন্দ্রে জানিয়ে রেখেছি।

ভোটাররা বলেন, সাধারণ মানুষের সঙ্গে মিশে থাকবেন এবং রাজশাহীর উন্নয়নের কথা বলতে পারবেন; সে ধরনের একজন মানুষ আসলে আমরা উপকৃত হব। এ ছাড়া যার মাধ্যমে এলাকার সর্বোচ্চ উন্নয়ন হবে; এমন প্রার্থীকে এমপি হিসেবে বেছে নিতে চাই আমরা।

রাজশাহী সদর আসনে ১৩ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। এরমধ্যে ৭ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা। তবে বাতিল হওয়া প্রার্থীদের মধ্যে কয়কজন আপল করেছেন।

এ আসনে মোট ভোটার তিন লাখ ৮৬ হাজার ৭৬০ জন।