বিমানে ওঠার আগে মাকে ফোন করেছিল দীপক

টুইট ডেস্ক: ভারতের আহমেদাবাদে ঘটে যাওয়া ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনায় এক হৃদয়বিদারক মৃত্যুমিছিলের দৃশ্য দেখা গেছে। দেশটির ইতিহাসে এটি দ্বিতীয় বৃহত্তম বিমান বিপর্যয়। টেক অফের মুহূর্তের মধ্যেই ধ্বংস হয়ে যায় এয়ার ইন্ডিয়ার একটি ড্রিমলাইনার। একটি জনবহুল এলাকায় মেডিকেল কলেজ ও হোস্টেলের ওপর বিমানটি ভেঙে পড়ায় শুরু হয় ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ। এই ভয়াবহতার মাঝে বিমানের ক্রু মেম্বার দীপক পাঠকের পরিবার এখনও কোনো নিশ্চিত খবর না পেয়ে যন্ত্রণায় ছটফট করছে।

বৃহস্পতিবার এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে এপিবি আনন্দ।

দীপকের বড় বোন বলেন, এখনও ভাইয়ের কোনো খবর পাইনি। টিভির খবরের উপরেই ভিত্তি করে আছি। আমাদের কিছু নিশ্চিত করে বললেই তখন কিছু বলব। ও আমাদের ভাই। দেখতে পাচ্ছি না কোথাও। তাই কষ্ট পাচ্ছি খুব।

তিনি আরও বলেন, যত জায়গায় আমাদের সোর্স আছে, কথা বলছি। সকলেই সাহায্য করার চেষ্টা করছে।

সাংবাদিকের প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানান, খবরের মাধ্যমেই তারা দুর্ঘটনার খবর পেয়েছেন। সকালে ভাই মাকে ফোন করে জানিয়েছিল যে সে আহমেদাবাদের ওই ফ্লাইটে করেই যাচ্ছে। পরে খবর দেখার পর মা বলেন, এই বিমানেই তো দীপক ছিল। এরপরই তারা দীপকের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা শুরু করেন।

আবেগাপ্লুত হয়ে তিনি আরও বলেন, আমাদের একমাত্র ভাই। আমাদের ভাই পড়াশোনায় খুবই ভালো ছিল। রাত জেগে পড়াশোনা করত। এখনও যত পরীক্ষাই দিত, ‘এ’ গ্রেডই পেত সে। ওর ব্রেইনটাই আলাদা ছিল।