নতুন টাকার দাম বান্ডেলপ্রতি ৮০০-১০০০ টাকা বেশি

টুইট ডেস্ক : ঈদের ছুটিতে ব্যাংক বন্ধ হয়ে গেছে বৃহস্পতিবার থেকে। তাতে খোলাবাজারে নতুন টাকার দাম বেড়ে গেছে। নতুন টাকা কিনতে বান্ডিলপ্রতি ৮০০ থেকে ১ হাজার টাকা বেশি গুনতে হচ্ছে। বৃহস্পতিবার সকালে মতিঝিল ও গুলিস্তান ঘুরে দেখা গেছে, মৌসুমি ব্যবসায়ীরা নতুন নোটের পসরা সাজিয়ে বসেছেন। একের পর এক ক্রেতাও আসছেন। তবে চড়া দাম শুনে দরদাম না করেই অনেকে চলে যাচ্ছেন।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতির পরিবর্তে বিভিন্ন জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার প্রতিকৃতি–সংবলিত নতুন নোট ২ জুন বাজারে ছেড়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। প্রাথমিকভাবে সীমিত পরিসরে ২০, ৫০ ও ১ হাজার টাকার নোট বিতরণ করে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মতিঝিল অফিস ও সরকারি–বেসরকারি কিছু ব্যাংক শাখা। চাহিদার তুলনায় কম নোট বাজারে ছাড়ায় বেশির ভাগ ক্রেতা নতুন নোট হাতে পায়নি।

এমনিতে ঈদে নতুন নোটের বিক্রি ও চাহিদা দুটিই বেড়ে যায়। প্রতিবছর ঈদের আগে ১৫ থেকে ২০ হাজার কোটি টাকার নতুন নোট বাজারে ছাড়া হলেও এবার দেওয়া হয়েছে মাত্র ৫০০ কোটি টাকার। ফলে এবার ব্যাংক কর্মকর্তারা চাহিদামতো নতুন নোট পাননি। এরপরও বিভিন্ন হাত ঘুরে খোলাবাজারে চলে এসেছে নতুন নোটের বান্ডিল। মতিঝিল ও গুলিস্তান ঘুরে দেখা গেছে, ২০ ও ৫০ টাকার নতুন নোটের প্রতি বান্ডিল ৮০০ থেকে ১ হাজার টাকা পর্যন্ত বাড়তি দামে বিক্রি করা হচ্ছে। আর ১ হাজার টাকার নতুন নোট প্রতি পিটি বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৪০ টাকা বাড়তি দামে।

এবারের ঈদে অনেক অল্প পরিমাণ নতুন নোট বাজারে এসেছে—এ খবর ছড়িয়ে পড়ায় মৌসুমি ব্যবসায়ীরাও সেই সুযোগে নতুন নোটের দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন। খোলাবাজারে নতুন নোটের ব্যবসায়ীরা বলছেন, এবার তাঁদেরও বাড়তি দামে নতুন নকশার নোট কিনতে হয়েছে, তাই বিক্রিও করছেন বাড়তি দামে।

এদিকে নতুন নকশার নোটের পাশাপাশি শেখ মুজিবুর রহমানের ছবিসহ নতুন নোটও বিক্রি হচ্ছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্রে জানা যায়, নতুন নকশার নোটের পাশাপাশি চলতি সপ্তাহে শেখ মুজিবুর রহমানের ছবিসহ পুরোনো নকশার নতুন নোটও বাজারে ছাড়া হয়েছে। এ জন্য খোলাবাজারেও পুরোনো নকশার নতুন নোটও পাওয়া যাচ্ছে।