হজের আনুষ্ঠানিকতা শুরু, মিনায় যাচ্ছেন হাজিরা

টুইট ডেস্ক : চলতি বছরের হজের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়েছে। এরই মধ্যে মিনায় পৌঁছাতে শুরু করেছেন মুসল্লিরা। আগামীকাল ৫ জুন পালিত হবে হজের মূল আনুষ্ঠানিকতা, ইয়াওমে আরাফা বা আরাফায় অবস্থান করবেন হাজীরা।

নজিরবিহীন নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে সারা পৃথিবী থেকে আগত লাখ লাখ হজযাত্রী মসজিদুল হারামে (কাবা) মঙ্গলবার জোহরের সালাত আদায় করেন। অতঃপর পবিত্র হজ পালন করতে রওনা হন মক্কা থেকে প্রায় ৯ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে মিনার উদ্দেশে।

ইতিমধ্যে ‘তাবুর শহর’ খ্যাত মিনায় পৌঁছেছেন লাখো মুসল্লি। সৌদি কর্তৃপক্ষের তথ্য অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত ৪ লক্ষাধিক হাজী মিনায় অবস্থান করছেন।

পবিত্র মক্কা থেকে মিনার পথমালা লাখে লাখে মানুষের পদভারে মুখরিত। আকাশ বাতাস মন্দ্রিত করছে—‘লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক, লাব্বাইকা লা শারিকা লাকা লাব্বাইক, ইন্নাল হামদা, ওয়ান নিমাতা লাকা ওয়াল মুলক, লা শারিকা লাক।’

মিনায় সারা দিন ও সারা রাত অবস্থানের মধ্য দিয়ে পবিত্র হজের আনুষ্ঠানিকতার শুরু হবে আল্লাহর মেহমানদের।

মিনায় পৌঁছে তারা সেখানে যার যার তাঁবুতে অবস্থান করে আজ বুধবার জোহর থেকে আগামীকাল বৃহস্পতিবার ফজরসহ মোট পাঁচ ওয়াক্ত সালাত জামাতের সঙ্গে আদায় করার পাশাপাশি অন্যান্য ইবাদত বন্দেগিতে মশগুল থাকবেন। এদিন রাতে মিনায় অবস্থান করা সুন্নত।

মিনায় ফজরের নামাজ আদায় করে হজের মূল আনুষ্ঠানিকতা পালনের জন্য আগামীকাল বৃহস্পতিবার ভোরে তারা যাবেন বিদায় হজের ঐতিহাসিক স্মৃতিবিজড়িত আরাফাত ময়দানে। সেখানে তারা হজের মূল রোকন ‘ওকুফে আরাফা’ পালন করবেন, যা হজের অন্যতম ফরজ অংশ। সেলাইবিহীন শুভ্র এক কাপড়ে সূর্যাস্ত পর্যন্ত তারা সেখানে থাকবেন।

মূলত ৯ জিলহজ আরাফাতের ময়দানে অবস্থানের দিনকেই হজের দিন বলা হয়। সৌদি আরবের ধর্মীয় বিষয়ক প্রেসিডেন্সি ঘোষণা করেছে যে, এ বছর হজে আরাফার দিনের ঐতিহাসিক খুতবা প্রদান করবেন বিশিষ্ট ইসলামিক স্কলার শেখ সালেহ বিন হুমাইদ।

এদিন সূর্যাস্তের পর আরাফাত থেকে প্রায় আট কিলোমিটার দূরে মুজদালিফায় গিয়ে রাতযাপন ও পাথর সংগ্রহ করবেন হাজিরা।

১০ জিলহজ ফজরের নামাজ আদায় করে মুজদালিফা থেকে আবার মিনায় ফিরবেন। মিনায় প্রত্যাবর্তনের পর হাজীদের পর্যায়ক্রমে চারটি কাজ সম্পন্ন করতে হয়। শয়তানকে (জামারা) পাথর নিক্ষেপ, আল্ল্লাহর উদ্দেশ্যে পশু কোরবানি, মাথা ন্যাড়া করা এবং তাওয়াফে জিয়ারত।

মিনায় ফিরে ১১ ও ১২ জিলহজ অবস্থান করবেন ও প্রতিদিন তিনটি শয়তানকে প্রতীকী পাথর নিক্ষেপ করবেন।

সবশেষে কাবা শরিফকে বিদায়ি তাওয়াফের মধ্য দিয়ে শেষ হবে হজের আনুষ্ঠানিকতা।

এবার বিশ্বের নানা প্রান্তের প্রায় ১৫ লাখ মুসল্লী হজ পালন করছেন। মুসল্লিদের হজ পালন নির্বিঘ্ন করতে কড়া নিরাপত্তাসহ নানা পদক্ষেপ নিয়েছে সৌদি সরকার।