কৃষি ও গবেষণায় সহযোগিতার আশ্বাস চীনা বাণিজ্যমন্ত্রীর

টুইট ডেস্ক: চীন বাংলাদেশের কৃষি, পাট, সামুদ্রিক মৎস্য এবং গবেষণা খাতে পূর্ণাঙ্গ সহযোগিতায় আগ্রহ প্রকাশ করেছে বলে জানিয়েছেন সফররত চীনা বাণিজ্যমন্ত্রী ওয়াং ওয়েনটাও।

রোববার (১ জুন) ঢাকায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠককালে তিনি এ কথা বলেন।

চীনা মন্ত্রী বলেন, “বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ উন্নয়নের রূপরেখা শুনে আমার সঙ্গে আসা কোম্পানিগুলো আরও আত্মবিশ্বাসী হয়েছে। তারা বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী।”

বৈঠকে বাংলাদেশের গ্রামীণ সম্ভাবনার কথা তুলে ধরে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “চীনা সহযোগিতায় দেশের প্রতিটি গ্রামকে উৎপাদন কেন্দ্রে রূপান্তর করা সম্ভব। কৃষি ও জলজ সম্পদের এখনো অনেক সম্ভাবনা অব্যবহৃত রয়ে গেছে।”

ওয়েনটাও জানান, চীন চায় কৃষি খাতে পূর্ণাঙ্গ সহযোগিতা—বিশেষত চাষযোগ্য জমি উন্নয়ন, পানি সংরক্ষণ এবং আধুনিক চাষ প্রযুক্তিতে। “আমার দৃষ্টিতে কৃষি শুধু শিল্প নয়, এটি একটি সামাজিক কাঠামো,”—বলেন তিনি।

সামুদ্রিক অর্থনীতি প্রসঙ্গে চীনা মন্ত্রী বলেন, “গভীর সমুদ্র মৎস্য আহরণে চীন বিশ্বের শীর্ষ প্রযুক্তি ব্যবহার করে। আমরা বাংলাদেশের কাছ থেকে প্রস্তাব পেলে একসঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত।”

পাট খাতেও চীন আগ্রহী জানিয়ে তিনি বলেন, “প্রতি বছর চীন বাংলাদেশ থেকে ১০০ মিলিয়ন ডলারের পাট পণ্য আমদানি করে, যা বাংলাদেশের মোট রপ্তানির ১০ শতাংশ। গবেষণা ও পণ্য বৈচিত্র্যের মাধ্যমে এ হার অনেক বাড়ানো সম্ভব।”

তিনি জানান, প্রধান উপদেষ্টার বক্তৃতার পরপরই চীনা পাট ব্যবসায়ীরা বৈঠকে বসে বাংলাদেশের পাট নিয়ে গবেষণার সিদ্ধান্ত নেন।

উত্তরে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, “বাংলাদেশি ডিজাইনাররা চীনা বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে একত্রে কাজ করলে পাটখাতে নতুন সম্ভাবনার দ্বার খুলবে।”

চীনা প্রতিনিধিদল ও তাদের বিনিয়োগ প্রত্যাশাকে স্বাগত জানিয়ে তিনি বলেন, “আপনার বক্তব্য আমাদের হৃদয় ছুঁয়ে গেছে। জাতি আজ আশার আলো দেখছে।”

চীনের সাম্প্রতিক সফর স্মরণ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “তৎকালীন আলোচনার ধারাবাহিকতায় এই সফর আমাদের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে আরও এগিয়ে নেবে।”