প্রযুক্তি ও ধর্মীয় সফরে এরল মাস্কের ৫ দিন
বিশ্ব ডেস্ক: বিশ্বখ্যাত প্রযুক্তি উদ্যোক্তা ইলন মাস্কের পিতা, এরল মাস্ক, ভারত সফরে আসছেন এবং তিনি অযোধ্যার ঐতিহাসিক রাম মন্দির পরিদর্শন করবেন বলে নিশ্চিত সূত্রে জানা গেছে। তার এই সফর শুধুমাত্র ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক গুরুত্ব বহন করছে না, বরং ভারতের প্রযুক্তিগত ভবিষ্যৎ ও বৈশ্বিক অবস্থানের এক নতুন দিগন্তের ইঙ্গিতও দিচ্ছে।
বিশ্বখ্যাত প্রযুক্তি উদ্যোক্তা ইলন মাস্কের পিতা, এরল মাস্ক, ১ জুন থেকে ৬ জুন ২০২৫ পর্যন্ত পাঁচ দিনের ভারত সফরে রয়েছেন। এই সফরে তিনি অযোধ্যার রাম মন্দির দর্শন করবেন এবং ভারতের সবুজ প্রযুক্তি ও বৈদ্যুতিক যানবাহন (EV) অবকাঠামো উন্নয়নের প্রচারে অংশ নেবেন।
সফরের সময়সূচি:
১ জুন: নয়াদিল্লিতে আগমন
২ জুন: নীতিনির্ধারক ও বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে বৈঠক
৩ জুন: Servotech-এর উৎপাদন ইউনিট পরিদর্শন
৪ জুন: অযোধ্যার রাম মন্দির দর্শন
৫ জুন: বৃক্ষরোপণ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ
৬ জুন: দক্ষিণ আফ্রিকার উদ্দেশ্যে ভারত ত্যাগ।
এরল মাস্কের এই সফর তার প্রথম ভারত সফর নয়, তবে এইবারের সফর বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ। তিনি রাম মন্দির দর্শনের মাধ্যমে ভারতের প্রাচীন সংস্কৃতি ও ধর্মীয় ঐতিহ্যের প্রতি তার শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করবেন। ভারতীয় কর্তৃপক্ষ এই সফরকে এক সাংস্কৃতিক বন্ধনের নিদর্শন হিসেবে দেখছে, যেখানে একজন আন্তর্জাতিক ব্যক্তিত্ব ভারতের আধ্যাত্মিক কেন্দ্রবিন্দুর প্রতি আগ্রহ প্রকাশ করছেন।
এরল মাস্ক কেবল রাম মন্দির দর্শনেই সীমাবদ্ধ থাকছেন না। জানা গেছে, তিনি ভারত সরকারের সবুজ প্রযুক্তি ও বৈদ্যুতিক যানবাহন চার্জিং অবকাঠামো রপ্তানি পরিকল্পনার প্রচারেও অংশ নেবেন। এই লক্ষ্য অর্জনের জন্য ভারত সরকার ইতোমধ্যে “মেক ইন ইন্ডিয়া – গ্রিন টেক” উদ্যোগ চালু করেছে।
ভারতের লক্ষ্য হলো আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে বৈশ্বিক বৈদ্যুতিক যানবাহন (EV) ও হাইড্রোজেন ফুয়েল সেলের বাজারে একটি বড় অংশ দখল করা। এরল মাস্কের উপস্থিতি এই উচ্চাকাঙ্ক্ষার প্রতি আন্তর্জাতিক মনোযোগ আকর্ষণের হাতিয়ার হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
আন্তর্জাতিক বার্তা ও কূটনৈতিক গুরুত্ব
বিশ্লেষকদের মতে, এরল মাস্কের এই সফর কেবল প্রযুক্তি ও ধর্মীয় সফর নয়, বরং এটি একটি কূটনৈতিক বার্তাও বহন করছে। ইলন মাস্ক ও টেসলার সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক উন্নয়নের প্রচেষ্টা এখনো চলমান। এই সফর ভবিষ্যতে মাস্ক পরিবারের সঙ্গে ভারতের আরও ঘনিষ্ঠ সহযোগিতার পথ তৈরি করতে পারে।
সমালোচনাও আছে
যদিও ভারত সরকার এই সফরকে একটি ‘গ্লোবাল ইমেজ বিল্ডিং’ উদ্যোগ হিসেবে তুলে ধরছে, তথাপি কিছু সমালোচক প্রশ্ন তুলেছেন যে সরকার কি যথাযথভাবে বাস্তবায়ন করছে এসব উচ্চাকাঙ্ক্ষী প্রকল্প? পরিবেশগত প্রভাব, বাস্তব অবকাঠামো ঘাটতি, এবং EV প্রযুক্তির স্থায়ী রক্ষণাবেক্ষণ ইত্যাদি বিষয় নিয়েও নানা বিতর্ক রয়েছে।
