ভারতের বিদেশি পাইলট নিয়োগ পরিকল্পনার গুজব
বিশ্ব ডেস্ক: ভারতের প্রতিরক্ষা বাহিনী বা সরকার থেকে এমন কোনো ঘোষণা বা প্রমাণ পাওয়া যায়নি যে, পাকিস্তানের সঙ্গে ভবিষ্যৎ সংঘাতে বিদেশি পাইলট নিয়োগের পরিকল্পনা রয়েছে। তবে, সম্প্রতি মে ২০২৫-এ সংঘটিত ভারত-পাকিস্তান সংঘাতে ভারতীয় বিমানবাহিনী (IAF) কিছু চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছে, যা সামরিক কৌশল ও প্রশিক্ষণ ব্যবস্থায় পরিবর্তনের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেছে।
সাম্প্রতিক সংঘাত ও বিমানবাহিনীর পারফরম্যান্স
২০২৫ সালের মে মাসে কাশ্মীরে সন্ত্রাসী হামলার পর ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে চারদিনব্যাপী সংঘর্ষ হয়, যা “অপারেশন সিন্ধুর” নামে পরিচিত। পাকিস্তান দাবি করেছে যে, তারা ছয়টি ভারতীয় যুদ্ধবিমান গুলি করে ভূপাতিত করেছে, যার মধ্যে তিনটি রাফালও রয়েছে। ভারত এই দাবিকে অস্বীকার করেছে এবং জানিয়েছে যে, তারা কৌশলগত ভুলগুলো সংশোধন করে সফলভাবে পাকিস্তানের অভ্যন্তরে নির্ভুল হামলা চালিয়েছে ।
প্রশিক্ষণ ও জনবল সংকট
ভারতীয় বিমানবাহিনী দীর্ঘদিন ধরেই পাইলট সংকটে ভুগছে। ২০২১ সালে এই ঘাটতি ছিল ৫৯৬ জন, এবং প্রশিক্ষণ ব্যবস্থায় পুরনো বিমান ব্যবহারের কারণে সমস্যা আরও প্রকট হয়েছে । বর্তমানে, যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে প্রয়োজনীয় পাইলট সংখ্যা পূরণে চ্যালেঞ্জ রয়েছে।
বিদেশি প্রযুক্তি ও সহযোগিতা
ভারতীয় বিমানবাহিনী আধুনিকীকরণের অংশ হিসেবে দেশীয় অ্যাডভান্সড মিডিয়াম কমব্যাট এয়ারক্রাফট (AMCA) প্রকল্প ত্বরান্বিত করছে এবং বিদেশি প্রযুক্তি, যেমন আমেরিকান F-35, বিবেচনায় নিচ্ছে । তবে, বিদেশি পাইলট নিয়োগের বিষয়ে কোনো সরকারি ঘোষণা পাওয়া যায়নি।
বর্তমানে, ভারতীয় বিমানবাহিনী বিদেশি পাইলট নিয়োগের পরিকল্পনা করছে এমন কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে, সাম্প্রতিক সংঘাতে অভিজ্ঞতা ও বিদ্যমান প্রশিক্ষণ ও জনবল সংকটের কারণে বিমানবাহিনী কৌশলগত ও প্রযুক্তিগত উন্নয়নের দিকে মনোযোগ দিচ্ছে।