ওড়িশা-পশ্চিমবঙ্গে ধেয়ে আসছে প্রবল ঝড়: বাংলাদেশ অনেকটাই ঝুঁকিমুক্ত

টুইট ডেস্ক: দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট গভীর নিম্নচাপটি আগামীকাল (৩০ মে) রাতে ভারতের ওড়িশা ও পশ্চিমবঙ্গ উপকূলে আঘাত হানতে পারে। ঘণ্টায় ৪৫-৭০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ো হাওয়া, বজ্রপাত ও জলোচ্ছ্বাসের আশঙ্কায় উপকূলীয় এলাকায় সতর্কতা জারি করা হয়েছে।

পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, উত্তর ও দক্ষিণ চব্বিশ পরগনায় হলুদ ও কমলা সতর্কতা জারি করেছে পশ্চিমবঙ্গ প্রশাসন। সমুদ্র উত্তাল, কিছু বাঁধ ভেঙে জল ঢুকেছে। ৭০% জেলায় ভারি বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে।

তবে বাংলাদেশের জন্য ঝুঁকি কম থাকলেও উপকূলীয় এলাকায় সতর্ক থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট গভীর নিম্নচাপটি ক্রমেই শক্তিশালী হয়ে ভারতের পূর্ব উপকূলের দিকে ধেয়ে আসছে। ভারতীয় আবহাওয়া অধিদফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, এই নিম্নচাপ আগামীকাল শুক্রবার (৩০ মে) রাতের মধ্যে ওড়িশা ও পশ্চিমবঙ্গের উপকূল অতিক্রম করতে পারে।

আবহাওয়াবিদদের মতে, এই সিস্টেমটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত না হলেও ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৭০ কিলোমিটার গতিতে ঝড়ো হাওয়া বইতে পারে। এ ছাড়া বজ্রপাত ও স্বল্পমাত্রার জলোচ্ছ্বাসের সম্ভাবনা রয়েছে উপকূলবর্তী অঞ্চলে।

ঝুঁকিতে পশ্চিমবঙ্গের চার জেলা

পশ্চিমবঙ্গের পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, উত্তর ও দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলায় ইতিমধ্যেই হলুদ ও কমলা সতর্কতা জারি করা হয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলোর বাসিন্দাদের নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেওয়ার কাজ শুরু করেছে প্রশাসন। জেলা প্রশাসন, সিভিল ডিফেন্স ও দুর্যোগ মোকাবিলা বাহিনী এলাকাভিত্তিক প্রচার চালাচ্ছে।

উত্তাল সমুদ্র, বাঁধ ভেঙে জল ঢুকছে

উপকূলীয় এলাকায় সমুদ্র উত্তাল হয়ে উঠেছে। ইতিমধ্যেই কয়েকটি জায়গায় বাঁশ ও মাটির তৈরি বাঁধ ভেঙে জল ঢুকে পড়েছে গ্রামাঞ্চলে। ফলে স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। প্রশাসন বলছে, অন্যান্য বাঁধগুলোকেও পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে এবং সম্ভাব্য বিপদ মোকাবেলায় দল মোতায়েন রয়েছে।

বৃষ্টি হবে রাজ্যের ৭০ শতাংশ জেলায়

আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, শুধু উপকূল নয়, রাজ্যের অভ্যন্তরীণ বহু জেলাতেও আগামী ৪৮ ঘণ্টা ব্যাপক বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। এমনকি পশ্চিমবঙ্গের ৭০ শতাংশ জেলার ওপর প্রভাব ফেলতে পারে এই গভীর নিম্নচাপ। পাহাড়ি এলাকায় ধসের আশঙ্কাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।

বাংলাদেশ অনেকটাই ঝুঁকিমুক্ত

আবহাওয়া বিশ্লেষকরা বলছেন, এই নিম্নচাপ বা সম্ভাব্য ঝড় ‘ইয়াস’-এর মতো বাংলাদেশের ওপর তেমন প্রভাব ফেলবে না। তবে উপকূলবর্তী অঞ্চলে সতর্ক দৃষ্টি রাখার পরামর্শ দিয়েছে দেশের আবহাওয়া অধিদফতর।