আমেরিকানদের উপর জোরদার হামলার ঘোষণা ইরাকি মিলিশিয়া গোষ্ঠীর
টুইট ডেস্ক : বাগদাদ দূতাবাসে হামলার পর ইরাকে থাকা আমেরিকান স্থাপনা ও সংশ্লিষ্ট বিষয়ে নতুন করে আরও জোরাল হামলার হুমকি দিয়েছেন ইরান সমর্থিত ইরাকের এক মিলিশিয়া গ্রুপ কমান্ডার।
স্থানীয় সময় শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে দূতাবাস ভবনের কমপাউন্ডের দিকে কয়েকটি গোলা ছোড়া হয় বলে সিএনএনকে জানান এক দূতাবাস কর্মকর্তা। এ হামলায় কোনও স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্থ বা কেউ আহত হয়নি বলে নিশ্চিত করেন তিনি।
দূতাবাসে হামলার ঘন্টাখানেক পরই ইরাকে দুই এবং সিরিয়ার এক জায়গায় অ্যামেরিকা ও তার মিত্রদের ফোর্সের ওপর ড্রোন ও রকেটের যৌথ হামলা চালানো হয়।
সরাসরি এ হামলার দায় স্বীকার না করলেও ইরাকি কাতাইব সাইয়্যিদ আল-শুহাদার কমান্ডার আবু আলা আল-ওয়ালে সিএনএনকে জানান, যতদিন গাজায় ইযরায়েলি হামলা চলমান থাকবে এবং ইরাকে অ্যামেরিকান বাহিনীর অবস্থান থাকবে ততদিন পর্যন্ত মিলিশিয়াদের পক্ষ থেকে এ ধরণের হামলা বন্ধ বা শিথিল করার বদলে আরও জোরদার করা হবে।
অ্যামেরিকার ডিপার্টমেন্ট অফ স্টেইট গত মাসেই কাতাইব সাইয়্যিদ আল-শুহাদার ও এর সেক্রেটারিকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে ঘোষণা দেয়।
ইরাকি নিরাপত্তা বাহিনীকে অবিলম্বে হামলার তদন্ত ও অপরাধীদের গ্রেপ্তার করার আহ্বান জানায় অ্যামেরিকা।
এ বিষয়ে শুক্রবার স্টেইট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র ম্যাট মিলার বলেন, ‘ইরাকে অবাধে কাজ করা ইরান সমর্থিত মিলিশিয়ারা দেশটির নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা এবং একই সঙ্গে অ্যামেরিকান কর্মী ও এ অঞ্চলের মিত্রদের জন্য হুমকি।’
হামলার পরপরই ইরাকের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মাদ শিয়া আল-সুদানী জানান, তার সরকার আক্রমণে জড়িতদের গ্রেফতার করে বিচারের আওতায় আনবে।
শুক্রবার তার কার্যালয় থেকে প্রকাশিত একটি বিবৃতিতে আল-সুদানী বলেন, ‘যেকোনও পরিস্থিতিতে কূটনৈতিক মিশনগুলিকে আক্রমণ করা অত্যন্ত গর্হিত কাজ। এ অন্যায় মেনে নেয়ার মত নয়।’
ইরাকি প্রধানমন্ত্রীর বিবৃতির সঙ্গে একমত জানিয়ে ম্যাট মিলার আরও বলেন, ‘ইরাক সরকারের অনুরোধে এবং নিরাপত্তার গ্যারান্টি দেয়ার পর অ্যামেরিকার সৈন্যরা এখানে আছে। কিন্তু এ হামলা মেনে নেয়ার মত নয়। ভবিষ্যতে অবশ্যই সৈন্যরা আত্নরক্ষা করবে।’
ইযরায়েলে ৭ অক্টোবরের হামাসের আক্রমণের পর থেকে এ অঞ্চলে অ্যামেরিকান সংশ্লিষ্টদের ওপর আক্রমণ উল্লেখযোগ্য পরিমান বেড়েছে বলে জানিয়েছে পেন্টাগন।
পেন্টাগনের এক তথ্য অনুযায়ী, ১৭ অক্টোবর থেকে ইরাক ও সিরিয়ায় কমপক্ষে ৮২ বার হামলার শিকার হয়েছেন অ্যামেরিকানরা।