সচিবালয়ে ‘ক্যু’র প্রস্তুতি? জনগণের সচেতন থাকার আহ্বান হাসনাত আবদুল্লাহর
টুইট ডেস্ক: বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন করে উত্তেজনা ছড়িয়েছে সচিবালয়কে কেন্দ্র করে। সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া এক সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে, “জনদুর্ভোগ ও ফ্যাসিবাদ দীর্ঘায়িত করার ক্যান্টনমেন্ট হিসেবে পরিচিত সচিবালয়ে ক্যু সম্পর্কে সচেতন থাকুন।”
বার্তায় আরও বলা হয়েছে, সরকার প্রধান শেখ হাসিনার পতনের পরও সচিবালয়ের কিছু কর্মকর্তা কালো ব্যাজ ধারণ করে অফিস করছেন এবং তাঁকে নীরবভাবে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছেন। এই ধরনের কর্মকাণ্ড যদি আগামী ৫ আগস্ট পর্যন্ত চলতে থাকে এবং তারা ‘ক্যু’র ধারা অব্যাহত রাখে, তাহলে তাদের পরিণতিও হবে ‘পতিত হাসিনার’ মতো—এমন হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করা হয়েছে।
এই বক্তব্যে দাবি করা হয়েছে, বাংলাদেশের জনগণ সবকিছু পর্যবেক্ষণ করছে এবং দেশবিরোধী যে কোনো ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে সজাগ আছে। একই সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের ‘সাবধান’ হওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।
হাসনাত আবদুল্লাহর হুঁশিয়ারি-
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ চট্টগ্রামে এক সমাবেশে বলেন, “সরকারকে জিম্মি করলে পরিস্থিতি ভালো হবে না। সংস্কার কার্যক্রমে বাধা দিলে কঠোর হস্তে প্রতিরোধ করা হবে।” তিনি আরও বলেন, “৫ আগস্টের আগ পর্যন্ত সচিবালয়ের কোনো সচিব, কর্মকর্তা, কর্মচারী কি পদত্যাগ করেছিল? আজ যখন সরকার সংস্কার কার্যক্রম শুরু করছে, সেখানে তারা সহযোগিতা না করে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে। আমাদের জীবন থাকতে, স্পষ্ট ভাষায় বলতে চাই, হাসনাত আবদুল্লাহ বেঁচে থাকতে, দেশে লাখ লাখ হাসনাত আবদুল্লাহ রয়েছে, তারা বেঁচে থাকতে সরকারের সংস্কার কার্যক্রমে যদি বাধা আসে, সচিবালয় থেকে যদি বাধা আসে, তাহলে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে কঠোর হস্তে সেটা প্রতিরোধ করা হবে।”
প্রশাসনের প্রতিক্রিয়া-
বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের আহ্বায়ক ও অতিরিক্ত সচিব ড. মো. আনোয়ার উল্ল্যাহ বলেন, “আগের সরকারের সময়ে যারা অনিয়ম ও অনৈতিকভাবে সুবিধা নিয়েছেন, বিভিন্ন পদে বসেছেন, তারাই মূলত এখন সরকারকে সহযোগিতা করার ক্ষেত্রে অনাগ্রহ দেখাচ্ছেন।”
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, সচিবালয়ে চলমান এই উত্তেজনা প্রশাসনের নিরপেক্ষতা ও সরকারের সংস্কার কার্যক্রমের প্রতি প্রতিশ্রুতির পরীক্ষা। প্রশাসনের নিরপেক্ষতা বজায় রাখা ও সংস্কার কার্যক্রমে সক্রিয় অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা সরকারের জন্য চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
জনগণের আস্থা অর্জন ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে সরকারকে দ্রুত ও কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।