৫ আগস্টের ভয়াল দিন: মৃত্যুর কাছাকাছি ছিলেন ওবায়দুল কাদের
৫ ঘণ্টা বাথরুমে লুকিয়ে ছিলেন ওবায়দুল কাদের: ‘লুটপাটের অভ্যুত্থান’ বললেন তিনি
টুইট প্রতিবেদন: আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের দিন তিনি ও তাঁর স্ত্রী পাঁচ ঘণ্টা বাথরুমে লুকিয়ে ছিলেন। এই সময়টিতে তাঁর বাসায় হামলা ও লুটপাট চলছিল।
ভারতীয় গণমাধ্যম ‘দ্য ওয়াল’-এর এক্সিকিউটিভ এডিটর অমল সরকারকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ওবায়দুল কাদের বলেন, “সেদিন আমার বেঁচে থাকার কথা ছিল না। মৃত্যু থেকে অনেক কাছে ছিলাম। আমার সংসদ এলাকার একটি বাসায় আশ্রয় নিয়েছিলাম। চারদিক থেকে মিছিল আসছিল। এটা আসলে ছিল প্রধানমন্ত্রীর (সাবেক) গণভবন কেন্দ্রিক। আমরা অবাক হলাম যে, সংসদ এলাকাতেও ছড়িয়ে পড়ে এবং একটা ‘লুটপাটের লুম্পেন স্টাইল’-এ কতগুলো ঘটনা ঘটে। সেখানে বিভিন্ন ধরনের লোক আসে এবং এদের মধ্যে বেশিরভাগই মনে হয়েছে—এটা কোনো রাজনৈতিক অভ্যুত্থান। এটা ‘লুটপাটের অভ্যুত্থান’।”
তিনি আরও জানান, হামলাকারীরা তাঁর বাসার বাথরুমের ফিটিংস পর্যন্ত লুট করতে শুরু করে। তাঁর স্ত্রী বারবার বলছিলেন যে তিনি অসুস্থ, যাতে হামলাকারীরা বাথরুমে প্রবেশ না করে। তবে শেষ পর্যন্ত হামলাকারীরা তাঁকে খুঁজে পায়। তাদের মধ্যে কেউ কেউ তাঁকে চিনতে পেরে সেলফি তোলে এবং তাঁকে সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তর করা হবে কি না, তা নিয়ে আলোচনা করে।
এই ঘটনার পর ওবায়দুল কাদেরের ব্যাংক হিসাব জব্দ করা হয় এবং দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করে।
এই সাক্ষাৎকারের মাধ্যমে ওবায়দুল কাদের প্রথমবারের মতো ৫ আগস্টের ঘটনার বিস্তারিত প্রকাশ্যে আনলেন। তাঁর এই বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে।