ইউক্রেনে রাশিয়ার সর্বাত্মক বিমান হামলা: ব্যবহার হলো ইস্কান্দার ক্ষেপণাস্ত্র ও সু-৫৭ যুদ্ধবিমান
বিশ্ব ডেস্ক: রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে চলমান যুদ্ধের সর্বশেষ পরিস্থিতিতে, ২৪ মে (শনিবার) তারিখে রাশিয়া ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভসহ বিভিন্ন শহরে একাধিক ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালিয়েছে। এই হামলায় ১৫ জন আহত হয়েছে, যার মধ্যে দুই শিশু রয়েছে।
হামলায় ১৪টি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র এবং ২৫০টি ড্রোন ব্যবহার করা হয়েছে, যার মধ্যে ইউক্রেনীয় বাহিনী ৬টি ক্ষেপণাস্ত্র ও ২৪৫টি ড্রোন প্রতিহত করতে সক্ষম হয়েছে ।
এই হামলার সময় রাশিয়ার উন্নতমানের পঞ্চম প্রজন্মের স্টেলথ ফাইটার জেট Su-57 ব্যবহার করা হয়েছে। Su-57 জেটগুলি Kh-69 ক্রুজ মিসাইল দিয়ে ইউক্রেনীয় সামরিক স্থাপনা লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে। এই জেটগুলি রাশিয়ার আকাশসীমা থেকে হামলা চালিয়ে ইউক্রেনের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা দুর্বল করতে সহায়তা করেছে ।
রাশিয়া Iskander-M ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে ইউক্রেনের সামরিক ঘাঁটিতে হামলা চালিয়েছে। এই ক্ষেপণাস্ত্রগুলি উচ্চ নির্ভুলতা সম্পন্ন এবং স্বল্প সময়ের মধ্যে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম ।
এই হামলার ফলে কিয়েভের বিভিন্ন জেলায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, এবং অনেক আবাসিক ভবন ধ্বংস হয়েছে। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি এই হামলার নিন্দা জানিয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে রাশিয়ার বিরুদ্ধে নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপের আহ্বান জানিয়েছেন ।
এই পরিস্থিতিতে, ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে শান্তি আলোচনা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। যদিও সম্প্রতি উভয় দেশ ১,০০০ বন্দি বিনিময়ের চুক্তি করেছে, তবে এই ধরনের হামলা শান্তি প্রচেষ্টাকে বাধাগ্রস্ত করছে ।
এই হামলার ফলে ইউক্রেনের জনগণের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে, এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মধ্যে উদ্বেগ বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, রাশিয়ার এই ধরনের হামলা যুদ্ধের মাত্রা বৃদ্ধি করছে এবং এটি একটি দীর্ঘমেয়াদী সংঘর্ষে পরিণত হতে পারে।
এই পরিস্থিতিতে, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উচিত দ্রুত পদক্ষেপ নিয়ে উভয় পক্ষকে শান্তি আলোচনায় ফিরিয়ে আনা এবং যুদ্ধবিরতি নিশ্চিত করা।