যুদ্ধকৌশলে চীন-পাকিস্তান বনাম রাশিয়া-ভারত
বিশ্ব ডেস্ক: সম্প্রতি ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে সংঘর্ষের সময় পাকিস্তান চীনের উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জন করে। পাকিস্তান চীনের তৈরি J-10C যুদ্ধবিমান এবং PL-15E মিসাইল ব্যবহার করে ভারতের রাফাল যুদ্ধবিমান গুলি করে ভূপাতিত করে।
এই ঘটনা চীনের অস্ত্র প্রযুক্তির কার্যকারিতা প্রমাণ করে এবং তাদের বৈশ্বিক অস্ত্র বাজারে অবস্থানকে শক্তিশালী করে।
পাকিস্তান চীনের সহায়তায় HQ-9P, LY-80, FD-2000 এবং FM-90 সহ উন্নত বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা স্থাপন করেছে। এছাড়াও, চীনের সহায়তায় পাকিস্তান PRSC-EO1 উপগ্রহ উৎক্ষেপণ করে, যা তাদের নজরদারি এবং গোয়েন্দা সক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
চীন ও পাকিস্তানের সাম্প্রতিক সামরিক সহযোগিতা এবং ১৯৭১ সালে ভারত ও সোভিয়েত ইউনিয়নের কৌশলগত অংশীদারিত্বের মধ্যে একটি স্পষ্ট সমান্তরাল দেখা যায়। এই দুটি ঘটনা প্রমাণ করে যে, আধুনিক প্রযুক্তি এবং কূটনৈতিক সমর্থন একটি দেশের সামরিক সাফল্যের জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ।
চীন এই সংঘর্ষকে তাদের অস্ত্র প্রযুক্তি পরীক্ষার একটি সুযোগ হিসেবে ব্যবহার করেছে, যা ভবিষ্যতে তাদের সামরিক উন্নয়ন এবং রপ্তানি কৌশল নির্ধারণে সহায়ক হবে।
সোভিয়েত ইউনিয়ন-ভারত: কৌশলগত সহযোগিতা
১৯৭১ সালে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের সময়, সোভিয়েত ইউনিয়ন ভারতের পাশে দাঁড়িয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ভারত ও সোভিয়েত ইউনিয়নের মধ্যে স্বাক্ষরিত “শান্তি ও মৈত্রীর চুক্তি” অনুযায়ী, সোভিয়েত ইউনিয়ন ভারতকে সামরিক ও কূটনৈতিক সহায়তা প্রদান করে।
যুদ্ধের সময়, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য পাকিস্তানের পক্ষে নৌবাহিনী মোতায়েন করলে, সোভিয়েত ইউনিয়ন তাদের পারমাণবিক অস্ত্রসজ্জিত নৌবহর পাঠিয়ে সেই হুমকি প্রতিহত করে।
এই সমর্থনের ফলে ভারতীয় বাহিনী পূর্ব পাকিস্তানে (বর্তমান বাংলাদেশ) সফল অভিযান চালাতে সক্ষম হয়।
উপরের দুটি ঘটনা থেকে স্পষ্ট যে, আধুনিক প্রযুক্তির অধিকার এবং কৌশলগত কূটনৈতিক অংশীদারিত্ব একটি দেশের সামরিক সাফল্যের জন্য অপরিহার্য।
প্রযুক্তি: উন্নত অস্ত্র ও নজরদারি প্রযুক্তি যুদ্ধক্ষেত্রে সুবিধা প্রদান করে।
কূটনীতি: আন্তর্জাতিক সমর্থন ও জোটবদ্ধতা একটি দেশের কৌশলগত অবস্থানকে শক্তিশালী করে।
এই দুই উপাদানের সমন্বয় একটি দেশের সামরিক সক্ষমতা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সহায়ক।
চীন-পাকিস্তান এবং সোভিয়েত ইউনিয়ন-ভারতের মধ্যে সামরিক সহযোগিতা প্রমাণ করে যে, প্রযুক্তি ও কূটনৈতিক সমর্থন একটি দেশের সামরিক সাফল্যের জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ।
বর্তমান ভূরাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে, এই ধরনের অংশীদারিত্ব ভবিষ্যতের সংঘর্ষ ও নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনার জন্য দিকনির্দেশনা প্রদান করে।