গাজা যুদ্ধ বন্ধে ইসরায়েলের বেশকিছু শর্ত

টুইট ডেস্ক: গাজায় যুদ্ধ বন্ধে রাজি ইসরায়েল। তবে হামাসকে বেশকিছু শর্ত এঁটে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। স্থায়ী আগ্রাসন থামাতে নিরস্ত্রীকরণ তো করতেই হবে, সেইসাথে উপত্যকাও ছাড়তে হবে হামাস সদস্যদের। একইসাথে মুক্তি দিতে হবে সকল জিম্মিদের। তেলআবিবের এমন শর্তের বিপরীতে এখনও কোনো মন্তব্য করেনি ফিলিস্তিনি মুক্তিকামী গোষ্ঠীটি।

হামাস নির্মূলের অজুহাতে গাজায় দীর্ঘ দেড় বছর চলছে ইসরায়েলি আগ্রাসন। প্রাণ গেছে ৫৩ হাজার ফিলিস্তিনির। এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা কয়েক হাজার মরদেহ। লক্ষ্য পূরণে যে অনেকটাই ব্যর্থ তেলআবিব হামাস সদস্যদের এই উপস্থিতি তারই প্রমাণ।

বাধ্য হয়ে যুদ্ধবিরতি ভেঙে গত ১৮ মার্চ পুনরায় হামলা শুরু করে আইডিএফ। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্য সফরের পর সম্প্রতি যা আরও জোরালো হয়। এদিকে, কাতারে চলমান আলোচনার মাঝেই গাজায় অস্থায়ী যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দেন মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক মার্কিন প্রতিনিধি স্টিভ উইটকফ। আর স্থায়ীভাবে যুদ্ধ বন্ধে আগে থেকেই দাবি জানিয়ে আসছিল ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠনটি।

এবার তেলআবিব জানালো উপত্যকায় যুদ্ধ বন্ধে রাজি তারা। যুক্তরাষ্ট্রের দেয়া অস্থায়ী কিংবা হামাসের স্থায়ী দুই প্রস্তাবেই সম্মত নেতানিয়াহু প্রশাসন। বিনিময়ে দেয়া হয়েছে বেশকিছু কঠিন শর্ত।

স্থায়ীভাবে আগ্রাসন বন্ধ চাইলে গাজার নিয়ন্ত্রণ ছাড়তে হবে হামাসকে। করতে হবে অস্ত্র সমর্পণ; পাশাপাশি উপত্যকা ছেড়ে বেছে নিতে হবে নির্বাসিত জীবন। আর সব জিম্মিকে একসাথে ছাড়ার শর্ত তো রয়েছেই। ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে জানানো হয় এসব দাবি।

এর আগে, গাজায় স্থায়ীভাবে যুদ্ধ বন্ধের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করলেও এবার সেই অবস্থান থেকে সরে আসতে দেখা গেছে বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে।