আপিলে দুই দিনে ১০৭ জন প্রার্থিতা ফিরে পেলেন

নির্বাচন কমিশন ভবন : ফাইল ছবি

টুইট ডেস্ক : আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মনোনয়নপত্র দাখিলে আপীল প্রক্রিয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়েছে। দ্বিতীয় দিনে ৫১ জন প্রার্থী তাদের প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন। গতকাল প্রার্থিতা ফিরে পান ৫৬ জন। দুই দিনে ১০৭ জন প্রার্থী তাদের প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন।

আজ সোমবার আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন কমিশন আপিল শুনানিতে এ সিদ্ধান্ত দেন। এ সময় প্রার্থীদের পক্ষে তার আইনজীবীরা ও প্রার্থীরা সশরীরে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ উপস্থিত ছিলেন।

নির্বাচনে অংশগ্রহণের লক্ষ্যে দাখিলকৃত ২ হাজার ৭১২টি মনোনয়নপত্র বাছাইয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তারা বিভিন্ন কারণে ৭৩১ জনের মনোনয়নপত্র বাতিল করেন এবং ১ হাজার ৯৮৫টি গ্রহণ করেন। ‘রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ৫৬১ জন প্রার্থী নির্বাচন কমিশনে (ইসি) আপিল দায়ের করেন’। এসব আপিল আবেদন বিষয়ে গতকাল (১১ ডিসেম্বর) থেকে শুনানি শুরু হয়েছে। চলবে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত। রায়ে সন্তুষ্ট না হলে প্রার্থীদের উচ্চ আদালতে যাওয়ার সুযোগ রয়েছে।

এই আপিল শুনানির দিনে সকাল ১০ টা থেকে শুরু হয়ে বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলে। আজ (১১ ডিসেম্বর) ১০০ জন প্রার্থীর আপিল শুনানি হয়। শুনানিতে প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন ৫১ জন। এছাড়া, ৪১ জন প্রার্থীর আপিল নামঞ্জুর করে ইসি। ৮ জন প্রার্থীর বিষয়ে আদেশ পরে দেয়া হবে বলে জানানো হয়।

ছবি : সংগৃহীত

তফসিল অনুযায়ী আগামী ৭ জানুয়ারি রোববার ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। মনোনয়নপত্র জমা নেয়া হয় গত ৩০ নভেম্বর বৃহস্পতিবার পর্যন্ত’। ১ থেকে ৪ ডিসেম্বর দাখিলকৃত মনোনয়নপত্রগুলো যাচাই-বাছাই হয়, রিটার্নিং অফিসারের আদেশের বিরুদ্ধে কমিশনে আপিল দায়ের ১০ ডিসেম্বর শেষ হয়। ‘১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত এই আপিল আবেদনগুলো নিষ্পত্তি হবে’। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন রোববার ১৭ ডিসেম্বর । রিটার্নিং অফিসাররা প্রতীক বরাদ্দ করবেন সোমবার ১৮ ডিসেম্বর ।

‘নির্বাচনী প্রচারণা চলবে আগামী ১৮ ডিসেম্বর থেকে ২০২৪ সালের ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত’। নির্বাচনের জন্য ৬৬ জন রিটার্নিং অফিসার ও ৫৯২ জন সহকারী রিটার্নিং অফিসার নিয়োগ দিয়েছে কমিশন। দেশের ৪২ হাজার ভোট কেন্দ্রের ২ লাখ ৬২ হাজার বুথে এবার প্রায় ১১ কোটি ৯৭ লাখ ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।

আসন্ন নির্বাচনের প্রস্তুতি সম্পন্ন হোক, যেন নির্বাচনের প্রক্রিয়া সু-সংবাদিত এবং ন্যায্য হোক। প্রজন্মের জন্য এটি একটি মডেল হতে পারে, যাতে ভোটারদের বিশ্বাস এবং বৈশিষ্ট্যিক রক্ষা হোক।