লামায় মাটির নিচে মিলল লুটের ২১ লাখ টাকা
টুইট ডেস্ক: বান্দরবানের লামায় আবুল খায়ের টোব্যাকো কোম্পানির অফিস থেকে লুট হওয়া ২১ লাখ ১৭ হাজার ২০০ টাকা উদ্ধার হয়েছে।
শনিবার লামা পৌরসভা এলাকার দুটি স্থান থেকে মাটি খুঁড়ে এসব টাকা উদ্ধার করে পুলিশ। এদিকে ওই অফিসে ডাকাতির ঘটনায় জড়িত ৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এর আগে ৯ মে ভোরে ১৫ থেকে ২০ জনের অস্ত্রধারী ডাকাতদল লামা উপজেলার লাইনঝিরি এলাকায় ওই কোম্পানির তামাক ক্রয় অফিসে হানা দেয়। এ সময় অফিসের কর্মচারীদের জিম্মি করে ১ কোটি ৭২ লাখ ৭৫ হাজার ৬৩৮ টাকা লুট করে নেয়।
এ ঘটনায় ১০ মে লামা থানায় করা মামলায় তদন্তে নেমে পুলিশ বান্দরবানের লামা ও পার্শ্ববর্তী কক্সবাজারের চকরিয়া এলাকা থেকে ৩ নারীসহ জড়িত ৮ জনকে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতাররা হলেন- চকরিয়া উপজেলার পূর্ব ভেউলা এলাকার মারুফুল ওরফে আরিফ, একই জেলার চকরিয়া লক্ষ্যাচর এলাকার নাঈমুল ইসলাম ওরফে সাগর, লামা পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ড এলাকার আব্দুর রহিম, লামা পৌরসভা এলাকার সুজন, লামা পৌরসভার সাবেক বিলছড়ি এলাকার আনোয়ারা বেগম, করিমের স্ত্রী ও বোন এবং আরও একজন পুরুষ আসামি।
গ্রেপ্তারদের তথ্যমতে, মাটির নিচ থেকে ওই পরিমাণ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে।
লামা থানার ওসি তোফাজ্জল হোসেন জানান, শনিবার করিমের স্ত্রীকে আটকের পর জিজ্ঞাসাবাদে তার দেওয়া তথ্যমতে, দুটি স্থানে অভিযান চালিয়ে মাটি খুঁড়ে লুট হওয়া ১৮ লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়। এর আগে আব্দুর রহিমের কাছ থেকে ৫০ হাজার ২০০ টাকা এবং তার দেওয়া তথ্যানুসারে শুক্রবার রাতে ওয়াসের আলীর পাহাড়ি জমি থেকে ২ লাখ ৬৭ হাজার টাকা উদ্ধার করে পুলিশ।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এনামুল হক জানান, করিম দক্ষিণ চট্টগ্রামের আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সক্রিয় সদস্য এবং লামার ঘটনার মূল মাস্টারমাইন্ড হিসাবে সন্দেহ করা হচ্ছে। ঘটনায় জড়িত বাকিদের গ্রেফতার ও লুট হওয়া সম্পূর্ণ অর্থ উদ্ধারে অভিযান অব্যাহত আছে।
পুলিশ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, লামা শহরের সিলেটি পাড়ার করিম ও আরিফের নেতৃত্বে এই ডাকাতি হয়েছে।