ট্রাম্পের যে হুমকিতে থেমে যায় পাক-ভারত যুদ্ধ!

টুইট ডেস্ক: পেহেলগাম ইস্যুতে টানা দুই সপ্তাহের বেশি উত্তেজনা ও শেষ চার দিনের সংঘাতের পর যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয় ভারত-পাকিস্তান। মূলত, যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতা ১০ মে সন্ধ্যা থেকে এ যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়। দুই পরমাণু শক্তিধর দেশকে যুদ্ধ থামাতে যেভাবে বাধ্য করা হয়েছিল- সেই গল্প জানালেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

সোমবার (১২ মে) হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ট্রাম্প বলেন, পেহেলগামে হামলা ঘিরে ভারত ও পাকিস্তানের পারমাণবিক যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছিল। তবে, যুক্তরাষ্ট্রের হস্তক্ষেপে সেই আশঙ্কা দূর হয়েছে।

তিনি বলেন, আমরা যদি সম্ভাব্য পরমাণু সংঘাত না থামাতাম তাহলে তাহলে খুব খারাপ হতো, লাখ লাখ মানুষের মৃত্যু হতো। ওয়াশিংটন যে তা রুখে দিয়েছি- এতে আমি খুব গর্বিত।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, আমি উপলব্ধি করেছি ভারত-পাকিস্তানের উত্তেজনা প্রশমনে সবচেয়ে কার্যকর পথ হতে পারে বাণিজ্য। এরপর আমি উভয়কেই বলেছিলাম, আমার কথা শুনুন, আমরা আপনাদের উভয়ের সঙ্গে বাণিজ্যের পরিমাণ বিপুল হারে বাড়াতে চাই। উত্তেজনা থামান। যদি আপনার থামেন, তাহলে আমরা বাণিজ্য করতে পারব; আর যদি না থামেন- আমরা কোনো ধরনের বাণিজ্যে যাব না।

উল্লেখ্য, ভারত শাসিত পেহেলগামে হামলার জন্য শুরু থেকেই পাকিস্তানকে দোষারোপ করছে ভারত। তবে, হামলায় জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করে আসছে ইসলামাবাদ। তারপরেও কোনো প্রমাণ ছাড়াই পাকিস্তানকে দায়ী করে একাধিক পদক্ষেপ নেয় ভারত। পাল্টা ব্যবস্থা নেয় পাকিস্তানও। উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি, যা টানা দুই সপ্তাহ চলার পর শেষপর্যন্ত সংঘাতে রূপ নেয়।

দুই দেশের পাল্টাপাল্টি হামলা রীতিমতো যুদ্ধের রূপ ধারণ করতে চলেছিল। এমন অবস্থায় দীর্ঘ ৪৮ ঘণ্টার আলোচনায় যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় ১০ মে যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয় ভারত-পাকিস্তান।