সীমান্তের ওপারে ৩০০ জনকে জড়ো করেছে বিএসএফ
টুইট ডেস্ক: খাগড়াছড়ির ওপারে আরো ২০০ থেকে ৩০০ জনকে পুশইন করার জন্য রাখা হয়েছে। বাংলাদেশের নজরদারি বাড়ানোর কারণে পুশইন করতে পারছে না বিএসএফ।
সাতক্ষীরায় সুন্দরবনের পাশে মান্দারমনি এলাকায় ৭৮ জনকে ফেলে গেছে বিএসএফ। গত ৭মে থেকে ৯ মে পর্যন্ত ২৮০ জনকে পুশইন করেছে। গত ৪৮ ঘণ্টা ধরে আরো ২০০ থেকে ৩০০ জনকে পুশইন করার চেষ্টা করছে।
সোমবার (১২ মে) সচিবালয়ের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির নবম সভা শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে বিজিবির মহাপরিচালক (ডিজি) মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী এসব তথ্য জানান।
রোহিঙ্গাসহ ২৮০ জনকে খাগড়াছড়ির পানছড়ি, জামিনী পাড়া, খেদাছড়া, মৌলভীবাজার, কুড়িগ্রামের রৌমারী চর অঞ্চল এবং সুন্দরবনের প্রত্যন্ত মান্দারবাড়িয়া দ্বীপ এলাকা দিয়ে বিএসএফ পুশইন করেছে।
সুন্দরবনে পুশইন ৭৮ জন :
শ্যামনগর সংবাদদাতা জানান, পশ্চিম সুন্দরবন সাতক্ষীরা রেঞ্জের মান্দারবাড়িয়া এলাকায় বিএসএফের রেখে যাওয়া ৭৮ নাগরিককে সাতক্ষীরার শ্যামনগর থানায় রোববার রাত ১১টায় হস্তান্তর করেছে কোস্ট গার্ড।
এর আগে শনিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে মান্দারবাড়িয়া ক্যাম্প থেকে তাদের কোস্ট গার্ডের কাকা-দোবেকী ক্যাম্পে হস্তান্তর করা হয় বলে জানান বন বিভাগের কর্মকর্তারা।
পুশইন করা ব্যক্তিরা বলেন, কাজের তাগিদে তারা গুজরাটের আহমেদাবাদ শহরের সুরাট বস্তি বসবাস করতো। ভারতীয় বৈধ কাগজপত্র না থাকায় এবং বাংলাদেশি নাগরিক নিশ্চিত হওয়ায় গত ২৬ এপ্রিল তাদেরকে উচ্ছেদ করে চোখ বেঁধে বিমানযোগে এবং পরবর্তীতে কার্গ করে সুন্দরবনের নদীর চরে রেখে যায় বিএসএফ। তারা সকলেই শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন।
তারা আরো বলেন, তারা ৩০/৩৭ বছর ধরে বসবাস করছিলেন। অনেকের বউ ছেলে মেয়ে ভারতে রয়ে গেছে।
শ্যামনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ুন কবির মোল্লা জানান, কোস্ট গার্ড পশ্চিম জোন ৭৮ জনকে থানায় হস্তান্তর করেছে। তিন জনের বৈধ কাগজপত্র নাই। এরা ভারতীয় নাগরিক। তাই অবৈধভাবে অনুপ্রবেশের দায়ে তাদের বিরুদ্ধে পৃথক মামলায় কারাগারে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। উদ্ধারকৃত ৭৫ জনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। সোমবার সকালে যাচাই-বাছাই শেষে তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।