আওয়ামী লীগের নিবন্ধন স্থগিত: ইসি
টুইট ডেস্ক: বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সব কার্যক্রম সরকার নিষিদ্ধ ঘোষণার পর এবার নিবন্ধন স্থগিত করল নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ফলে প্রথমবারের মতো নির্বাচন থেকে ছিটকে পড়ল দেশের প্রাচীনতম এ দলটি।
সোমবার (১২ মে) রাতে আওয়ামী লীগের নিবন্ধন স্থগিতের সিদ্ধান্ত নেয় ইসি। নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ এ তথ্য জানান।
এর আগে, বিচার শেষ না হওয়া পর্যন্ত আওয়ামী লীগ এবং এর সব অঙ্গসংগঠন, সহযোগী সংগঠন ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের যাবতীয় কার্যক্রম নিষিদ্ধ করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ। সোমবার (১২ মে) বিকেলে সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি স্বাক্ষরিত এ প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। এরপরই বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে সিইসি এ এম নাসির উদ্দিনের নেতৃত্বে বৈঠকে বসে কমিশন। প্রায় চার ঘণ্টা বৈঠক শেষে সোয়া ৯টার ইসি সচিব আখতার আহমেদ বলেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনের আলোকে নির্বাচন কমিশন আওয়ামী লীগের নিবন্ধন স্থগিত করেছে।
তিনি বলেন, আপনারা জানেন যে আজ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এবং তার অঙ্গ সংগঠন ও ভাতৃপ্রতিম সংগঠনগুলোকে কার্যক্রম নিষিদ্ধ করেছে। তার ধারাবাহিকতায় ইলেকশন কমিশন সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে আওয়ামী লীগের নিবন্ধন স্থগিত করা হলো। সে অনুযায়ী আমরা গেজেট নোটিফিকেশন জারি করেছি। আপনারা গেজেটের কপিটা বিজি প্রেস থেকে পেয়ে যাবেন।
কোন গ্রাউন্ডে এই নিবন্ধন স্থগিত করা হলো জানতে চাইলে ইসি সচিব বলেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের যে প্রজ্ঞাপন তার ধারাবাহিকতায় আমরা এটা করেছি।
কমিশন সভায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার ছাড়াও নির্বাচন কমিশনার আনোয়ারুল ইসলাম সরকার ও আব্দুর রহমানেল মাছউদ উপস্থিত ছিলেন। সভায় নির্বাচন কমিশন সচিব আখতার আহমেদ, আইন শাখার যুগ্ম সচিব ফারুক আহমেদসহ কর্মকর্তারা আইনি দিকগুলো তুলে ধরেন।
নির্বাচনী আইন গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) এর ৯০ জ অনুচ্ছেদ দফা ১ (খ) অনুযায়ী সরকার ঘোষিত নিষিদ্ধ দলের নিবন্ধন বাতিলের বিধান রয়েছে। নিবন্ধন স্থগিতের মাধ্যমে দলটির ভোটে অংশগ্রহণ বন্ধ হয়ে গেল।
গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) অনুযায়ী, কোনো রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ ঘোষিত হলে দলটির নিবন্ধন বাতিল হয়ে যায়। নিষেধাজ্ঞার প্রজ্ঞাপন হওয়ায় নির্বাচন কমিশন আওয়ামী লীগের নিবন্ধন নিয়েও সিদ্ধান্ত নেয়।
২০০৮ সালে নবম সংসদ নির্বাচনের আগে নিবন্ধন প্রথা চালু করে নির্বাচন কমিশন।