ভারতের বিরুদ্ধে পাল্টা হামলার সিদ্ধান্ত পাকিস্তানের
টুইট ডেস্ক: ভারতের ‘উস্কানিমূলক ও বেআইনি আগ্রাসনের’ জবাবে জরুরি বৈঠকে বসেছে পাকিস্তানের জাতীয় নিরাপত্তা কমিটি (NSC)।
আজ বুধবার (৭ মে) পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফের বাসভবনে অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে সেনাবাহিনীকে পাল্টা হামলার ‘সম্পূর্ণ স্বাধীনতা’ দেওয়া হয়েছে। NSC জানায়, পাকিস্তান জাতিসংঘ সনদের ৫১ অনুচ্ছেদের অধীনে আত্মরক্ষার অধিকার প্রয়োগ করবে।
ভারতের ‘অপারেশন সিন্ধুর’ এবং পাকিস্তানের দাবি
ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, কাশ্মীরে ২২ এপ্রিলের সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জন নিহত হওয়ার পর পাকিস্তানের অভ্যন্তরে ও পাকিস্তান-অধিকৃত কাশ্মীরে জইশ-ই-মোহাম্মদ ও লস্কর-ই-তইয়্যেবার সন্ত্রাসী ঘাঁটি লক্ষ্য করে ‘অপারেশন সিন্ধুর’ চালানো হয়। এতে বিমানবাহিনীর রাফাল জেট থেকে SCALP ও HAMMER ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়।
এই হামলার পর পাকিস্তান জানায়, ভারতের হামলায় তাদের দেশে নারী-শিশুসহ অন্তত ২৬ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন এবং ৪৬ জন আহত হয়েছেন। পাল্টা জবাবে পাকিস্তান ভারতের পাঁচটি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করার দাবি করেছে, যার মধ্যে তিনটি রাফাল জেট। এছাড়া, ভারতের একটি ব্রিগেড সদর দপ্তর এবং কয়েকটি সামরিক পোস্ট ধ্বংস করার কথাও জানানো হয়েছে।
বৈঠকের সিদ্ধান্ত ও বক্তব্য
জাতীয় নিরাপত্তা কমিটির বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ ছাড়াও সেনাপ্রধান, প্রতিরক্ষামন্ত্রী ও গোয়েন্দা সংস্থার শীর্ষ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে বলা হয়, পাকিস্তান শান্তিপ্রিয়, তবে সার্বভৌমত্বে আঘাত এলে জবাব দিতে জানে। পাকিস্তান যে কোনো সময়, স্থান ও উপায়ে জবাব দেওয়ার অধিকার রাখে।
তথ্যমন্ত্রী আতাউল্লাহ তারার দাবি করেন, “চুরা কমপ্লেক্স এলাকায় ভারতীয় সেনারা সাদা পতাকা দেখিয়েছে, যা পরাজয়ের ইঙ্গিত।” তিনি আরও বলেন, “পাকিস্তানের প্রতিক্রিয়ায় ভারতীয় বাহিনী বড় ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে।”
আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া
জাতিসংঘ, চীন ও রাশিয়া—তিন দেশই এই নতুন উত্তেজনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। জাতিসংঘের মহাসচিব উভয় দেশকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। অন্যদিকে ইসরায়েল ভারতের আত্মরক্ষার অধিকারে সমর্থন জানিয়েছে।
এদিকে আজ বিকেল ৩টায় জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ, যেখানে তিনি সরকারের পরবর্তী পদক্ষেপ তুলে ধরবেন।