গাজা পুরোপুরি দখলে ইসরায়েলের পরিকল্পনা অনুমোদন

ইসরায়েল গাজা দখলের পরিকল্পনা অনুমোদন করেছে: আন্তর্জাতিক উদ্বেগ ও মানবিক সংকট

বিশ্ব ডেস্ক: সমবার (৫ মে) ইসরায়েলের নিরাপত্তা মন্ত্রিসভা প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর প্রস্তাবিত পরিকল্পনাকে অনুমোদন দিয়েছে, যার লক্ষ্য গাজা উপত্যকার সম্পূর্ণ দখল এবং হামাসের বিরুদ্ধে একটি তীব্র সামরিক অভিযান পরিচালনা করা

পরিকল্পনার মূল বৈশিষ্ট্য

সম্পূর্ণ দখল ও সামরিক উপস্থিতি: ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (IDF) গাজার উত্তর ও দক্ষিণ অংশে ধাপে ধাপে প্রবেশ করে দীর্ঘমেয়াদে অবস্থান করবে, হামাসের অবকাঠামো ধ্বংস এবং তাদের নির্মূলের লক্ষ্যে

জনসংখ্যার স্থানান্তর: পরিকল্পনা অনুযায়ী, গাজার প্রায় ২.৩ মিলিয়ন ফিলিস্তিনি নাগরিককে দক্ষিণাঞ্চলে স্থানান্তর করা হবে, যা ইসরায়েলি কর্মকর্তারা হামাস মুক্ত অঞ্চল হিসেবে বিবেচনা করছেন

মানবিক সহায়তার নিয়ন্ত্রণ: ইসরায়েল গাজায় মানবিক সহায়তা সরবরাহের নিয়ন্ত্রণ গ্রহণ করবে, যা আন্তর্জাতিক মানবিক নীতিমালার লঙ্ঘন হিসেবে সমালোচিত হয়েছে

আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া

জাতিসংঘ, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা ইসরায়েলের এই পরিকল্পনার তীব্র সমালোচনা করেছেন। তারা এটিকে আন্তর্জাতিক মানবিক আইন এবং জেনেভা কনভেনশনের লঙ্ঘন হিসেবে অভিহিত করেছে, বিশেষ করে জোরপূর্বক স্থানান্তর এবং মানবিক সহায়তার বাধা প্রদানের কারণে ।

অভ্যন্তরীণ সমালোচনা ও উদ্বেগ

ইসরায়েলের অভ্যন্তরেও এই পরিকল্পনার বিরুদ্ধে সমালোচনা উঠেছে। হামাসের হাতে আটক থাকা বন্দীদের পরিবারের সদস্যরা অভিযোগ করেছেন যে, সরকার তাদের উদ্ধারের পরিবর্তে ভূখণ্ড দখলের দিকে বেশি মনোযোগ দিচ্ছেএই পরিকল্পনার বাস্তবায়ন গাজা উপত্যকায় মানবিক সংকট আরও গভীর করতে পারে এবং মধ্যপ্রাচ্যে দীর্ঘমেয়াদী অস্থিরতা সৃষ্টি করতে পারে।

বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা করছেন যে, এই পদক্ষেপের ফলে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে ইসরায়েলের সম্পর্ক আরও জটিল হতে পারে এবং শান্তি প্রক্রিয়া ব্যাহত হতে পারেএই পরিস্থিতিতে, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দৃষ্টি এখন ইসরায়েলের পরবর্তী পদক্ষেপ এবং গাজা উপত্যকার মানবিক পরিস্থিতির উন্নয়নের দিকে ।