পুতিন জানালেন মোদীকে সমর্থন
টুইট নিউজ: কাশ্মীরের পেহেলগামে পর্যটকদের উপর সাম্প্রতিক রক্তাক্ত সন্ত্রাসী হামলার প্রেক্ষিতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে ফোন করে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন জানালেন, সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে রাশিয়া ভারতের পাশে রয়েছে।
এই কূটনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ ফোনালাপে পুতিন ঠাণ্ডা মাথায় সংগঠিত হামলার তীব্র নিন্দা জানান এবং নিরীহ মানুষের প্রাণহানির ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেন। তিনি জোর দিয়ে বলেন, হামলার পেছনে থাকা অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনতে হবে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এই সময় রুশ প্রেসিডেন্টের এমন সমর্থন অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ, কারণ এর ঠিক আগেই পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাশিয়া ও চীনকে নিয়ে কাশ্মীর হামলার তদন্তে একটি আন্তর্জাতিক কমিটি গঠনের আহ্বান জানিয়েছিলেন। তার কয়েকদিন পরই মোদীকে ফোন করেন পুতিন।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল জানিয়েছেন, এই ফোনালাপে মোদী পুতিনকে বিজয় দিবসের ৮০তম বার্ষিকীর শুভেচ্ছা জানান এবং বছরের শেষে ভারতে অনুষ্ঠেয় বার্ষিক শীর্ষ সম্মেলনে আমন্ত্রণ জানান। পুতিন আমন্ত্রণ গ্রহণ করেছেন।
রুশ প্রেসিডেন্টের কার্যালয় ক্রেমলিন সূত্রে এনডিটিভি জানায়,
দুই নেতা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও গভীর করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং এই সম্পর্ক বহির্জগতের প্রভাবমুক্ত থাকবে বলে মত প্রকাশ করেন।
এদিকে, পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ সম্প্রতি রুশ সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, “আমার মনে হয়, রাশিয়া, চীন এবং পশ্চিমা দেশগুলো এই হামলার তদন্তে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।”
তিনি একটি আন্তর্জাতিক তদন্ত কমিটি গঠনের প্রস্তাব দেন, যারা সত্য উদ্ঘাটন করবে- ভারত সত্য বলছে না মিথ্যা।
তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, এমন বিবৃতি যথেষ্ট নয়। তদন্তের জন্য বাস্তব প্রমাণ প্রয়োজন। ফাঁকা বিবৃতিতে ফল আসবে না।
উল্লেখ্য, গত ২২ এপ্রিল পেহেলগামে হামলার দায় স্বীকার করেছে পাকিস্তানভিত্তিক নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তৈয়বার ছায়া সংগঠন ‘দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট’।
পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার সময়েও ভারত-রাশিয়া ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বজায় রেখেছে, বিশেষ করে ইউক্রেন যুদ্ধ চলাকালে রাশিয়া থেকে তেল আমদানির ধারাবাহিকতায়। এই প্রেক্ষাপটে মোদী-পুতিন সম্পর্ক আরও ব্যক্তিগত এবং কৌশলগত গুরুত্ব পাচ্ছে বলে মত বিশ্লেষকদের।