খালেদা জিয়ার দেশে প্রত্যাবর্তন: মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টায়

কাতারের আমিরের পাঠানো এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে ঢাকায় ফিরছেন বিএনপি চেয়ারপারসন, নেতাকর্মীদের শান্ত থাকার বার্তা দিলেন ফখরুল।

টুইট ডেস্ক: লন্ডনে দীর্ঘ চার মাস চিকিৎসা শেষে আগামীকাল মঙ্গলবার (৬ মে) সকালে দেশে ফিরছেন বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া। তার আগমন উপলক্ষে দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে একটি গুরুত্বপূর্ণ বার্তা দিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে মির্জা ফখরুল লেখেন, “কাতারের আমিরের পাঠানো র‌য়্যাল এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টায় বেগম খালেদা জিয়া ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করবেন। সেদিন এসএসসি পরীক্ষার্থীরাও সকালেই বের হবে, তাই নেতাকর্মীদের অনুরোধ করছি কেউ যেন সড়কে না নামেন, ফুটপাতেও যেন বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি না হয়।”

তিনি আরও বলেন, “আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে অনুরোধ করছি, কেউ যেন বিশৃঙ্খলা করতে না পারে—সে বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করুন।”

আগমনের সময়সূচি ও রুট:

৫ মে: লন্ডন সময় বিকেল সাড়ে ৪টায় হিথ্রো বিমানবন্দর থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হয় বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্স।

মাঝপথে বিরতি: কাতারের দোহায় হামাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এক ঘণ্টার বিরতি ও জ্বালানি নেওয়ার পর পুনরায় উড্ডয়ন।

৬ মে সকাল সাড়ে ১০টা: ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ।

বিএনপি চেয়ারপারসনের সঙ্গে ফিরছেন তার ঘনিষ্ঠ ১৩ জন সফরসঙ্গী, তাদের মধ্যে রয়েছেন—দুই পুত্রবধূ: ডা. জুবাইদা রহমান ও সৈয়দা শর্মিলা রহমান, চিকিৎসক দল: অধ্যাপক ডা. আবু জাফর মো. জাহিদ হোসেন, অধ্যাপক ডা. শাহাবুদ্দিন তালুকদার, ডা. জাফর ইকবাল, উপদেষ্টা: ড. মোহাম্মদ এনামুল হক চৌধুরী, বিএনপি নেতা: তাবিথ আউয়াল, কয়সর এম আহমেদ, ব্যক্তিগত সহকারী ও গৃহপরিচারিকা: মাসুদুর রহমান, দিলারা মালিক, ফাতেমা বেগম, রুপা শিকদার।

খালেদা জিয়ার আগমনে দলীয় কর্মসূচি না থাকলেও, অনেক নেতাকর্মী বিমানবন্দর এলাকায় উপস্থিত থাকতে পারেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। তবে এসএসসি পরীক্ষার কারণে দলের পক্ষ থেকে কঠোরভাবে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে যেন কোনো নেতাকর্মী রাস্তা বা সড়কে ভিড় না করেন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকেও সক্রিয় থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে।

মির্জা ফখরুলের বার্তায় স্পষ্ট করা হয়েছে, বিএনপি শান্তিপূর্ণভাবে খালেদা জিয়ার প্রত্যাবর্তনকে স্বাগত জানাতে চায় এবং কোনো ধরণের জনদুর্ভোগ কিংবা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করবে না।

এই প্রত্যাবর্তন রাজনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা, বিশেষ করে এমন এক সময়ে যখন দেশে রাজনৈতিক অস্থিরতা ও অর্থনৈতিক সংকট নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে।

আপনি কি খালেদা জিয়ার প্রত্যাবর্তন নিয়ে জনমত বা রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়াও জানতে চান?