কোটি টাকা চাঁদা দাবি: কলাবাগান থানার ওসি ও এসআই প্রত্যাহার

টুইট ডেস্ক: এক কোটি টাকা চাঁদা দাবিসহ সন্ত্রাসীদের নিয়ে ভয়ভীতি, জোরপূর্বক বাসায় প্রবেশ, অর্থ আদায়, ভাঙচুর ও মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর হুমকির অভিযোগে কলাবাগান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোক্তারুজ্জামান ও উপ-পরিদর্শক (এসআই) বেলাল হোসেনকে সাময়িকভাবে প্রত্যাহার করা হয়েছে।

রবিবার (৪ মে) তাদের দায়িত্ব থেকে প্রত্যাহার করা হয় বলে নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মুখপাত্র ও উপ-কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর। তিনি জানান, “প্রশাসনিক কারণে কলাবাগান থানার ওসি ও এক এসআইকে সাময়িকভাবে প্রত্যাহার করা হয়েছে।”

এ বিষয়ে বিস্তারিত অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী শিক্ষাবিদ ও কলামিস্ট ড. আব্দুল ওয়াদুদ। তিনি বলেন, ২৯ এপ্রিল রাত দেড়টার দিকে কলাবাগান থানার এসআই বেলালের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল এবং ১৫-২০ জনের সন্ত্রাসী একটি দল তার ধানমন্ডিস্থ বাসভবনে জোরপূর্বক প্রবেশ করে।

তিনি জানান, তার বাসার ম্যানেজার বিষয়টি টেলিফোনে ৯৯৯-এ জানালে দ্রুত ঘটনাস্থলে আরও একটি পুলিশ দল আসে। এরপর শাহবাগ ও নিউমার্কেট থানার টহল টিমও ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। কিন্তু কলাবাগান থানার ওসি মোক্তারুজ্জামান তাদের ঘটনাস্থল ত্যাগ করতে বলেন।

ড. ওয়াদুদ অভিযোগ করেন, তার ষাটোর্ধ্ব ভাড়াটিয়া লাল মিয়া ও নাইটগার্ড লুৎফরকে জোরপূর্বক পুলিশের গাড়িতে তুলে নেওয়ার নির্দেশ দেন ওসি। তিনি দাবি করেন, এসব ঘটনার ভিডিও প্রমাণস্বরূপ তার বাড়ির সিসিটিভি ফুটেজ রয়েছে।

তিনি বলেন, “পুলিশ সদস্য মান্নান আমাকে আলাদা করে ডেকে নিয়ে বলেন, এক কোটি টাকা দিলে থানায় নেওয়া হবে না। আমি জানতে চাইলে বলেন, কোনো মামলা হয়নি, তারা টাকা তুলতে এসেছেন। টাকা না দিলে ১০টি মামলা দেওয়া হবে বলে হুমকি দেন। পরে আমি দুই লাখ টাকা তাৎক্ষণিকভাবে এসআই বেলাল ও পুলিশ সদস্য মান্নানকে দেই। ব্যাংক খোলার পরে বাকি টাকা দেওয়ার শর্তে তিনজন সিভিল পোশাকধারী লোককে আমার বাসায় পাহারায় রেখে যায়, যারা নিজেদের ডিবি পুলিশের সদস্য বলে পরিচয় দেয়।”

ঘটনার পর ২ মে ড. ওয়াদুদ ডিএমপি কমিশনার বরাবর লিখিত অভিযোগ জমা দেন এবং অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানান।

ঘটনাটি নিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর শীর্ষ মহলে তোলপাড় শুরু হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।