আবরার ফাহাদ হত্যা মামলার পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ, ২০ জনের মৃ(ত্যু)দণ্ড

টুইট ডেস্ক : বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যা মামলায় হাইকোর্টের ১৩১ পৃষ্ঠার পূর্ণাঙ্গ রায় সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে। রায়ে ২০ জনের মৃত্যুদণ্ড এবং ৫ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বহাল রাখা হয়েছে। এই রায় বাংলাদেশের সুপ্রিমকোর্টের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে।

হাইকোর্ট বেঞ্চ, বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেন এর সমন্বয়ে ১৬ মার্চ মামলার ডেথ রেফারেন্স, আপিল ও জেল আপিলের শুনানি শেষে রায় ঘোষণা করেন। এতে বিচারিক আদালতের দেওয়া রায় পূর্ণরূপে বহাল রাখা হয়।

২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর বুয়েটের শেরেবাংলা হলের একটি কক্ষে আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। ঘটনার পরদিন আবরারের বাবা চকবাজার থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। এরপর ১৩ নভেম্বর পুলিশ ২৫ জন আসামির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে।

এ মামলার রায় ঘোষণার পর ২০২১ সালের ৮ ডিসেম্বর ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ আসামিদের বিরুদ্ধে রায় দেয়। রায়ে বলা হয়েছিল, শিবির সন্দেহে আবরারের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তুলে নির্মমভাবে তাকে হত্যা করা হয়েছে।

হাইকোর্টের পূর্ণাঙ্গ রায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ২০ আসামির নাম উল্লেখ করা হয়। তাদের মধ্যে রয়েছেন—মেহেদী হাসান রাসেল, মো. অনিক সরকার, মেহেদী হাসান রবিন, ইফতি মোশাররফ সকাল, মো. মনিরুজ্জামান মনির, মো. মেফতাহুল ইসলাম জিয়ন, মো. মাজেদুর রহমান মাজেদ, মো. মুজাহিদুর রহমান, খন্দকার তাবাককারুল ইসলাম তানভীর, হোসাইন মোহাম্মদ তোহা, মো. শামীম বিল্লাহ, এ এস এম নাজমুস সাদাত, মোর্শেদ অমর্ত্য ইসলাম, মুনতাসির আল জেমি, মো. শামসুল আরেফিন রাফাত, মো. মিজানুর রহমান, এস এম মাহমুদ সেতু, মোর্শেদ-উজ-জামান মণ্ডল জিসান, এহতেশামুল রাব্বি তানিম এবং মুজতবা রাফিদ।

এছাড়া যারা যাবজ্জীবন কারাদণ্ড পেয়েছেন, তাদের মধ্যে রয়েছেন-মুহতাসিম ফুয়াদ হোসেন, মো. আকাশ হোসেন, মুয়াজ আবু হুরায়রা, অমিত সাহা এবং ইশতিয়াক আহমেদ মুন্না।

উল্লেখ্য, মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি মুনতাসির আল জেমি ২০২৪ সালের ৬ আগস্ট গাজীপুরের হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে পালিয়ে যায়। এই ঘটনায় দেশব্যাপী চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয় এবং কর্তৃপক্ষের কাছে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে।