গাজায় তাণ্ডব অব্যাহত, একদিনে নিহত ৩১
টুইট ডেস্ক : গাজা উপত্যকায় টানা হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে নারী ও শিশুসহ অন্তত ৩১ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এর ফলে ২০২৩ সালের অক্টোবরে সংঘাত শুরুর পর থেকে গাজায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫২ হাজার ৪১৮ জনে।
শুক্রবার (২ মে) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
খবিতে বলা হয়, বৃহস্পতিবার দিনভর গাজা উপত্যকার বিভিন্ন এলাকায় ইসরায়েলি বিমান ও স্থল হামলায় প্রাণ হারান অন্তত ৩১ জন। এছাড়া শুক্রবার ভোরে একটি বাড়িতে চালানো বিমান হামলায় একই পরিবারের ছয় সদস্য নিহত হন। আহত হয়েছেন আরও অন্তত ৫০ জন।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, সংঘাত শুরুর পর থেকে আহতের সংখ্যা পৌঁছেছে ১ লাখ ১৮ হাজার ৯১ জনে। বহু মানুষ এখনো ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে আছেন; উদ্ধারকারীরা অনেক জায়গায় পৌঁছাতেই পারছেন না।
অবরুদ্ধ গাজায় মানবিক সংকট চরমে পৌঁছেছে। জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থী সংস্থা (ইউএনআরডব্লিউএ) জানিয়েছে, ইসরায়েলি অবরোধের কারণে ত্রাণবাহী ৩ হাজার ট্রাক সীমান্তে আটকে আছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্বাহী পরিচালক মাইকেল রায়ান এ পরিস্থিতিকে “একটি জঘন্য মানবিক বিপর্যয়” বলে আখ্যা দিয়েছেন।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বর্তমানে ৯২ শতাংশ শিশু ও গর্ভবতী নারী চরম অপুষ্টিতে ভুগছেন। তারা জাতিসংঘের কাছে গাজায় “দুর্ভিক্ষ” ঘোষণা করার আহ্বান জানিয়েছে।
গাজায় অবস্থানরত আল জাজিরার সাংবাদিক এই অবরোধকে “বেসামরিক জনগণের উদ্দেশ্যপ্রণোদিত শ্বাসরোধ” বলে অভিহিত করেছেন।
অন্যদিকে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু স্পষ্ট করে দিয়েছেন, গাজায় যুদ্ধের মূল উদ্দেশ্য বন্দিমুক্তি নয়, বরং “শত্রুদের ওপর বিজয় অর্জন”।
প্রসঙ্গত, আন্তর্জাতিক চাপের মুখে গত ১৯ জানুয়ারি ইসরায়েল গাজায় যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়। দুই মাস ধরে অঞ্চলটিতে আপাত শান্তি থাকলেও মার্চের শেষ সপ্তাহে হামাসের সঙ্গে মতবিরোধের জেরে ইসরায়েল আবারও হামলা শুরু করে।