নিজ বাসা থেকে মির্জা ফখরুল গ্রেপ্তার

নিজস্ব প্রতিবেদক : বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বিএনপির চেয়ারপারসনের প্রেস উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, আজ রোববার সকালে রাজধানীর গুলশান-২ -এর বাসা থেকে মির্জা ফখরুলকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)।

ডিবির গুলশান বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার হাফিজ আল আসাদ বলেন, মির্জা ফখরুলকে তারা নিয়ে এসেছেন।

মির্জা ফখরুলকে নিয়ে যাওয়ার বিষয়ে তাঁর স্ত্রী রাহাত আরা বেগম সাংবাদিকদের জানান, সকালে ডিবি পুলিশের লোকজন বাসায় আসেন। মির্জা ফখরুল ইসলামসহ বাসার সবার সঙ্গে কথা বলেন তাঁরা। এরপর সিসি ক্যামেরার ফুটেজ ও হার্ডডিস্ক বাসা থেকে নিয়ে চলে যান। এর ঠিক ১০ মিনিট পর আবার ফিরে এসে ফখরুলকে নিয়ে যান।

রাহাত আরা বেগম বলেছেন, মির্জা ফখরুল প্রচণ্ড অসুস্থ, তাঁর চিকিৎসা চলছিল। ৭৫ বছর বয়স্ক মানুষ, তাঁকে এভাবে নিয়ে যাওয়া তিনি মেনে নিতে পারছেন না। তিনি আশা করছেন, জিজ্ঞাসাবাদ করতে চাইলে তা করে যেন ছেড়ে দেওয়া হয় তাঁকে।

শনিবার রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির মহাসমাবেশ ছিল। মহাসমাবেশ শুরুর আগেই কাকরাইলে দুপুর থেকে বিএনপির নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়। এ সংঘর্ষ পরে বিজয়নগর পানির ট্যাংক ও শান্তিনগর এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। একপর্যায়ে বেলা তিনটার দিকে বিএনপির মহাসমাবেশ পণ্ড হয়ে যায়।

বিএনপির মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে পুলিশের এক সদস্য ও যুবদলের এক নেতা নিহত হন। সংঘর্ষে আহত হয়েছেন পুলিশের ৪১ ও আনসারের ২৫ সদস্য। আহত হয়েছেন কমপক্ষে ২০ সাংবাদিক। সংঘর্ষে হাজারের বেশি নেতাকর্মী আহত হয়েছেন বলে দাবি বিএনপির।

সংঘর্ষকালে অ্যাম্বুলেন্স, ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি, বাস, মোটরসাইকেলসহ বেশ কটি গাড়িতে আগুন দেওয়া হয়। পুলিশের হিসাবে, আগুন দেওয়া হয়েছে মোট ৫৫টি গাড়িতে। হামলা হয় কাকরাইলে প্রধান বিচারপতির বাসভবন ও রাজারবাগের কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে।

এ ছাড়া কাকরাইল, ফকিরাপুল, নাইটিঙ্গেল মোড় ও শান্তিনগর এলাকার সাতটি পুলিশ বক্স পোড়ানো হয়। কমলাপুরে পুলিশের একটি গাড়িতে আগুন দেওয়া হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে।

বিএনপির মহাসমাবেশে ‘পুলিশের হামলার প্রতিবাদে’ দলটি আজ সারা দেশে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল ডেকেছে। সারা দেশে সকাল থেকে ঢেলেঢালাভাবে হরতার পালিত হচ্ছে।