জাপানের সামরিক প্রস্তাব: বাংলাদেশের প্রতিরক্ষা সক্ষমতা বৃদ্ধির সম্ভাবনা
টুইট ডেস্ক: জাপান বাংলাদেশকে উন্নত সামরিক সরঞ্জাম সরবরাহের প্রস্তাব দিয়েছে, যার মাধ্যমে দুই দেশের প্রতিরক্ষা সহযোগিতা জোরদার করা এবং ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে জাপানের কৌশলগত উপস্থিতি বিস্তারের লক্ষ্যে এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
প্রস্তাবিত সামরিক সরঞ্জামসমূহ:
Mogami-class frigate: অত্যাধুনিক মাল্টি-মিশন যুদ্ধজাহাজ, যা স্টেলথ প্রযুক্তি ও উন্নত অস্ত্র ব্যবস্থায় সজ্জিত।
US-2 amphibious aircraft: পানিতে অবতরণ ও উড্ডয়ন সক্ষম বিমান, যা সমুদ্রপথে উদ্ধার ও নজরদারিতে কার্যকর।
Soryu-class submarine: উন্নত ডিজেল-ইলেকট্রিক সাবমেরিন, যা দীর্ঘ সময় পানির নিচে অপারেশন চালাতে সক্ষম।
FPS-3ME radar: দূরপাল্লার উন্নত রাডার সিস্টেম, যা বিমান ও ক্ষেপণাস্ত্র শনাক্তকরণে সক্ষম।
Type 12 anti-ship missile: জাহাজ বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র, যা সমুদ্রপথে প্রতিরক্ষা জোরদারে সহায়ক।
অর্থায়ন ও চুক্তির অগ্রগতি
জাপান এই সরঞ্জাম সরবরাহের জন্য স্বল্প সুদের ঋণ এবং Official Security Assistance (OSA) এর আওতায় আর্থিক সহায়তা প্রদানের প্রস্তাব দিয়েছে।
২০২৪ সালের নভেম্বর মাসে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনুস এই চুক্তির খসড়ায় সম্মতি দিয়েছেন। বর্তমানে এটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, অর্থ মন্ত্রণালয় এবং অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে
এই প্রস্তাব বাংলাদেশের Forces Goal 2030 সামরিক আধুনিকায়ন পরিকল্পনার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। চীনের ক্রমবর্ধমান প্রভাব মোকাবিলায় জাপান ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে কৌশলগত অংশীদারিত্ব গড়ে তুলতে আগ্রহী। বাংলাদেশকে সামরিক সহায়তা প্রদান এই কৌশলের অংশ।
ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা
চুক্তি বাস্তবায়িত হলে বাংলাদেশের প্রতিরক্ষা সক্ষমতা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পাবে এবং চীনের ওপর নির্ভরশীলতা কিছুটা হ্রাস পাবে। একইসঙ্গে জাপানও ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে নিজেদের ভূরাজনৈতিক অবস্থান আরও সুদৃঢ় করতে পারবে।