গর্ভপাতের ওপর অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে টেক্সাস সুপ্রিম কোর্ট
টুইট ডেস্ক : টেক্সাস সুপ্রিম কোর্ট গর্ভপাতের ওপর অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। স্টেইটের অ্যাটর্নি জেনারেলের অনুরোধের পরপরই এই নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়।
অ্যামেরিকার সুপ্রিম কোর্ট গত বছর গর্ভপাতের সাংবিধানিক অধিকার বাতিল করার পর এই আইনি লড়াইটি মুখ্য আলোচনার বিষয় হয়ে দেখা দেয়। ফলে টেক্সাসের মতো স্টেইট সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা প্রস্তাব অনুমোদন করতে সক্ষম হবে।
গর্ভপাতের অনুমতি দেয়া নিম্ন আদালতের একটি রায় টেক্সাসের সুপ্রিম কোর্ট স্থগিত করে দিয়েছে। ওই দিনের শুরুতে টেক্সাসের অ্যাটর্নি জেনারেল কেন প্যাক্সটনের করা একটি আবেদনের প্রতিক্রিয়ায় আদালতটি এই সিদ্ধান্ত দেয়।
শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) দেয়া রায়ে বলা হয়, ‘সুবিধার কথা বিবেচনা না করে জেলা আদালতের ২০২৩ সালের ৭ ডিসেম্বর দেয়া ওই রায় আদালত স্থগিত করেছে।’
ডালাস-ফোর্ট ওর্থ এলাকায় বসবাসকারী কেইট কক্স নামের ৩১ বছন বয়সী ওই নারী আদালতের কাছে গর্ভপাতের অনুমতি চেয়েছিলেন।
গত নভেম্বরের ২৭ তারিখে ধরা পড়ে যে, তার ভ্রূণে ট্রাইসমি এইটিন নামে একটি রোগ আছে। এটি একটি জিনগত সমস্যা, যার ফলে গর্ভবতী নারীর গর্ভপাত হতে পারে বা তিনি মৃত সন্তান প্রসব করতে পারেন। এই ক্ষেত্রে অনেক সময় জন্মের পরপরই শিশুর মৃত্যুও হয়ে থাকে।
প্রায় ২০ সপ্তাহের গর্ভবতী কক্স তার মামলায় উল্লেখ করেছিলেন যে, ‘গর্ভাবস্থা চালিয়ে গেলে তাকে তৃতীয়বারের মতো সিজারিয়ান সেকশনের মধ্য দিয়ে যেতে হবে’। এর ফলে ভবিষ্যতে তার সন্তান জন্মদানের ক্ষমতা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
সেন্টার ফর রিপ্রোডাক্টিভ রাইটসের সিনিয়র স্টাফ অ্যাটর্নি মলি ডুয়েইন বলেন, যদিও আমারা এখনও আশা করছি যে আদালত দ্রুতই স্টেইটের অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করবে, তবে এই ক্ষেত্রে আমরা আশংকা করছি যে বিলম্বিত হলে ন্যায়বিচারের আর কোনও আশা থাকবে না।’
ডিস্ট্রিক্ট কোর্ট জাজ মায়া গুয়েরার গ্যাম্বল বৃহস্পতিবার কক্সের পক্ষে একটি আদেশ জারি করেছেন যা কেবল কক্সের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য হবে। তবে এর ফলে গর্ভপাতের বিস্তৃতি বাড়বে না।
এই সংক্রান্ত ইস্যুতে স্টেইটের সর্বোচ্চ আদালতকে সক্রিয় হতে বলেছিলেন প্যাক্সটন। ‘জরুরি গর্ভপাতে সহায়তা করা যেকোনো চিকিৎসককেই বিচারের আওতায় আনা হবে বলেও তিনি সতর্ক করেন।’
মামলার রায়ে উল্লেখ করা হয়, ‘গর্ভপাতের ফলে মৃত অনাগত শিশুর জীবন কোনোভাবেই ফিরিয়ে আনা সম্ভব হবে না।’
স্টেইটের গর্ভপাতের নিষেধাজ্ঞায় কেবল মায়েদের জীবনের ঝুঁকি বা বড় কোনো শারীরিক ঝুঁকি তৈরি হতে পারে এমন ক্ষেত্রে কিছুটা ব্যতিক্রম আছে।
কক্স তার মামলায় উল্লেখ করেছিলেন যে, ‘গর্ভপাত করা জরুরি জানা সত্ত্বেও আদালতের আদেশ ছাড়া চিকিৎসকেরা তা করতে রাজি ছিলেন না’। কারণ এটা করলে জেল হওয়া বা লাইসেন্স বাতিল হওয়ার মতো শাস্তি পেতে হতো তাদের।
অস্টিন আদালতে বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) এক শুনানির সময় গুয়েরা গ্যাম্বল বলেন, এই আইনের কারণে কক্স তার সন্তান জন্মদানের ক্ষমতা হারাতে পারেন। এটা ন্যায়বিচার লঙ্ঘনের প্রকৃষ্ট উদাহরণ।