নেই প্রমাণ, নেই বিচার—জয়ের আবেগঘন টুইট
- ‘সুধা সদন ছিল বাবার স্মৃতি, এখন সরকারের কব্জায়’—জয়ের টুইট বার্তা ভাইরাল
টুইট ডেস্ক: বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজিব ওয়াজেদ জয় সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অভিযোগ করেছেন যে, বর্তমান সরকারের অধীনে আদালত তাঁর পরিবারের উত্তরাধিকারসূত্রে প্রাপ্ত সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছে। এই সম্পত্তির মধ্যে রয়েছে ঢাকার ধানমণ্ডিতে অবস্থিত ঐতিহাসিক বাড়ি ‘সুধা সদন’।
২০২৫ সালের ১১ মার্চ ঢাকার মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ মো. জাকির হোসেন গালিবের আদালত দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের প্রেক্ষিতে ‘সুধা সদন’সহ শেখ হাসিনার পরিবারের বিভিন্ন সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার আদেশ দেন। এই সম্পত্তিগুলোর মধ্যে রয়েছে:
ধানমণ্ডির ১৬ কাঠা জমির ওপর নির্মিত ‘সুধা সদন’, যার মালিকানা শেখ হাসিনার ছেলে সজিব ওয়াজেদ জয় ও মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের নামে নিবন্ধিত।
গাজীপুরের কালিয়াকৈরে ১০ ডেসিমেল জমি, শেখ রেহানার নামে নিবন্ধিত।
গুলশানে ২,৪৩৬ বর্গফুটের একটি ফ্ল্যাট, শেখ রেহানার মেয়ে টিউলিপ সিদ্দিকের নামে।
সেগুনবাগিচায় একটি ফ্ল্যাট, শেখ রেহানার নামে।
নিকেতনে শেখ রেহানার ছেলে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিকের নামে দুটি ফ্ল্যাট।
এছাড়া, আদালত শেখ হাসিনা, শেখ রেহানা, সজিব ওয়াজেদ জয়, সায়মা ওয়াজেদ পুতুল এবং তাঁদের সহযোগীদের ১২৪টি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করার আদেশ দেন, যেখানে মোট প্রায় ৬০০ কোটি টাকা রয়েছে ।
সজিব ওয়াজেদ জয় বুধবার (৩০ এপ্রিল) রাত ১০ টায় এক্স (সাবেক টুইটার) প্ল্যাটফর্মে একটি পোস্টে অভিযোগ করেন যে,
“বাংলাদেশের আদালত ইউনুস স্বৈরতন্ত্রের অধীনে আমার পরিবারের উত্তরাধিকারসূত্রে প্রাপ্ত সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছে। এর মধ্যে রয়েছে সুধা সদন, যা সন্ত্রাসীদের দ্বারা লুটপাট ও পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে।” তিনি আরও বলেন, “কোনো প্রমাণ, বিচার বা দণ্ড ছাড়াই এই কাজ করা হয়েছে। বাংলাদেশে আইনের শাসন নেই” ।
২০২৪ সালের ডিসেম্বরে দুদক শেখ হাসিনা ও তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রসহ নয়টি প্রকল্প থেকে ৮০,০০০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে তদন্ত শুরু করে। এছাড়া, শেখ হাসিনা ও সাজিব ওয়াজেদ জয়ের বিরুদ্ধে ৩০০ মিলিয়ন ডলার যুক্তরাষ্ট্রে পাচারের অভিযোগেও তদন্ত চলছে ।
সজিব ওয়াজেদ জয়ের সম্পত্তি বাজেয়াপ্তির ঘটনা বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে একটি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু হিসেবে উঠে এসেছে।
একদিকে সরকার দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছে বলে দাবি করছে, অন্যদিকে বিরোধীরা এটিকে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা হিসেবে দেখছে।
এই পরিস্থিতিতে দেশের আইনি প্রক্রিয়া ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখা একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।