কাশ্মীর সীমান্তে ভারত-পাকিস্তান সেনা সং(ঘর্ষ), পরিস্থিতি আরও তীব্র
টুইট ডেস্ক : কাশ্মীরের পেহেলগামে গত ২২ এপ্রিল সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জন পর্যটক নিহত হওয়ার পর ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা তীব্র হয়ে উঠেছে। সম্প্রতি কাশ্মীর সীমান্তে দুই দেশের সেনাবাহিনীর মধ্যে একাধিক গোলাগুলি চলেছে। এই সংঘর্ষে এখনও পর্যন্ত কোনও হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
জার্মান সংবাদমাধ্যম ডয়চে ভেলে জানিয়েছে, গত বৃহস্পতিবার থেকে প্রতি রাতেই কাশ্মীর সীমান্তে গোলাগুলি চলছে। পাকিস্তানকে হামলার জন্য দায়ী করে ভারত একাধিক ব্যবস্থা গ্রহণের ঘোষণা দিয়েছে, যার মধ্যে পাকিস্তানের সঙ্গে সিমলা চুক্তি এবং অন্যান্য চুক্তি স্থগিত করার কথা উল্লেখ করেছে। এর ফলস্বরূপ, জম্মু ও কাশ্মীর এবং লাদাখে প্রতিরাতে গুলির লড়াই অব্যাহত রয়েছে।
স্থানীয় সংবাদদাতা জানিয়েছেন, প্রতি রাতে রাত ১২টার পর গুলি চলতে থাকে এবং ভোরে থেমে যায়। ভারত সীমান্তে ব্যাপক সেনা মোতায়েন করছে এবং প্রচুর মুভমেন্ট লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমসের রিপোর্টে বলা হয়েছে, ভারত পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সামরিক পদক্ষেপের প্রস্তুতি নিচ্ছে। হামলার পর ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এক ডজনেরও বেশি দেশের নেতাদের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন এবং নয়াদিল্লিতে ১০০টিরও বেশি কূটনৈতিক মিশনের প্রতিনিধিদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ডেকে নিয়ে আসেন। তবে এসব প্রচেষ্টা উত্তেজনা কমানোর উদ্দেশ্যে নয়, বরং পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযানের জন্য আন্তর্জাতিক সমর্থন আদায়ের লক্ষ্যে নেওয়া হয়েছে বলে ধারণা করছেন কূটনীতিকরা।
প্রধানমন্ত্রী মোদি সন্ত্রাসী আস্তানাগুলো ধ্বংস এবং কঠোর শাস্তির ঘোষণা দিয়েছেন, যদিও পাকিস্তানের নাম তিনি সরাসরি উল্লেখ করেননি। অন্যদিকে, কাশ্মীরে নিরাপত্তা বাহিনী সন্ত্রাসী হামলার সঙ্গে জড়িতদের খোঁজে ব্যাপক ধরপাকড় অভিযান চালাচ্ছে। এ পর্যন্ত শত শত মানুষ গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এছাড়া, ভারত পাকিস্তানের দিকে বয়ে যাওয়া নদীগুলোর পানিপ্রবাহ বন্ধ করার ঘোষণা দিয়েছে এবং পাকিস্তানি দূতাবাসের কিছু কর্মী ও ভারতে সফররত পাকিস্তানি নাগরিকদের দেশে ফিরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে।
এদিকে, পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ একটি সাক্ষাৎকারে বলেছেন, কাশ্মীরে পর্যটকদের ওপর হামলার পর ভারতের সামরিক পদক্ষেপ দ্রুতই আসবে।