অত্যাচারী থেকে আল্লাহর কাছে আশ্রয়ের দোয়া
টুইট ডেস্ক : সায়িদ বিন জুবাইর (রা.) থেকে বর্ণিত ইবনে আব্বাস (রা.) বর্ণনা করেছেন, যখন তুমি এমন কোনো বাদশাহর কাছে আসবে যে তোমার ওপর হামলা করবে বলে আশংকা করছ তখন এই দোয়া পড়বে-
اللَّهُ أَكْبَرُ، اللَّهُ أَعَزُّ مِنْ خَلْقِهِ جَمِيعاً، اللَّهُ أَعَزُّ مِمَّا أَخَافُ وَأَحْذَرُ، أَعُوذُ بِاللَّهِ الَّذِي لاَ إِلَهَ إِلاَّ هُوَ، الْمُمْسِكِ السَّمَوَاتِ السَّبْعِ أَنْ يَقَعْنَ عَلَى الْأَرْضِ إِلاَّ بِإِذْنِهِ، مِنْ شَرِّ عَبْدِكَ فُلاَنٍ، وَجُنُودِهِ وَأَتْبَاعِهِ وَأَشْيَاعِهِ، مِنْ الْجِنِّ وَالإِنْسِ، اللَّهُمَّ كُنْ لِي جَاراً مِنْ شَرِّهِمْ، جَلَّ ثَنَاؤُكَ وَعَزَّ جَارُكَ، وَتَبَارَكَ اسْمُكَ، وَلاَ إِلَهَ غَيْرُكَ
উচ্চারণ : আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আআজ্জু মিন খালকিহি জামিয়ান। আল্লাহু আআজ্জু মিম্মা আখাফু ওয়া আহজারু। আউজু বিল্লাহিল্লাজি লা ইলাহা ইল্লা হুওয়াল মুমসিকুস সামাওয়াতিস সাবয়ি, আন ইয়াকানা আলাল আরদি ইল্লা বিইজনিহী, মিন শাররি ‘আবদিকা ফুলা-নিন, ওয়া জুনুদিহি ওয়া আতবাইহি ওয়া আশইয়াইহি মিনাল জিন্নি ওয়াল ইনসি।
আল্লাহুম্মা কুনলি জারান মিন শাররিহিম, জাল্লা সানাউকা ওয়া আজ্জা জারুকা ওয়াতাবারকাসমুকা ওয়া লা ইলাহা গাইরুকা। (তিন বার পড়বে)।
অর্থ : আল্লাহ সবচেয়ে বড়। আল্লাহ তাঁর পুরো সৃষ্টি থেকে মর্যাদাবান। আমি যা থেকে ভীত ও শঙ্কিত তার চেয়ে আল্লাহ মহাপরাক্রমশালী।
আমি আল্লাহ্র কাছে আশ্রয় চাই যিনি ছাড়া আর কোনো ইলাহ নেই। যিনি সাত আসমানকে তার অনুমতি ছাড়া পৃথিবীর ওপর পতিত হওয়া থেকে ধারণ করেছেন। আপনার অমুক বান্দা, তার সৈন্য বাহিনী, তার অনুসারী ও তার অনুগামী জিন ও মানুষের অনিষ্ট থেকে (আমি আশ্রয় চাই)। হে আল্লাহ, তাদের ক্ষতি থেকে আপনি আমার জন্য আশ্রয়দানকারী হোন। আপনার গুণগান অতি মহান। আপনার আশ্রয় প্রবল শক্তিশালী। আপনার নাম অতি বরকতময়। আর আপনি ছাড়া কোনো ইলাহ নেই। (সহিহ আত-তারগিব, হাদিস : ২২৩৮)
প্রসঙ্গত, ইসলামে সব ধরনের অত্যাচার কঠোরভাবে নিষিদ্ধ, হারাম। শুধু অত্যাচার নয়, অত্যাচারে সহযোগিতা করা এবং অত্যাচারীদের সঙ্গে সম্পর্ক রাখা ও ঘনিষ্ঠতা রক্ষা করাও হারাম।
মানুষের ওপর অত্যাচার এমন এক ভয়াবহ গুনাহ যার শাস্তি কোনো না কোনো উপায়ে দুনিয়ায় পেতে হয়। শুধু মানুষ নয়, পশুপাখি ও প্রাণীর ওপরও অত্যাচার হারাম।
পবিত্র কোরআনে সূরা ইবরাহিমে আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘অত্যাচারীদের কর্মকাণ্ড সম্পর্কে আল্লাহকে কখনও উদাসীন মনে করো না। তবে তিনি তাদের শুধু একটি নির্দিষ্ট দিন পর্যন্ত অবকাশ দেন, যেদিন চক্ষুগুলো বিস্ফোরিত হবে, তারা মাথা ঊর্ধ্বমুখী হয়ে উঠেপড়ে দৌঁড়াতে থাকবে, তাদের চোখ তাদের নিজেদের দিকে ফিরবে না, এবং তাদের হৃদয়গুলো দিশেহারা হয়ে যাবে। মানুষকে আজাব সমাগত হওয়ার দিন সম্পর্ক সাবধান করে দাও, যে দিন তাদের কাছে আজাব আসবে। সেদিন অত্যাচারীরা বলবে, হে আমাদের প্রভু! অল্প সময়ের জন্য আমাদের অবকাশ দিন, তাহলে আমরা আপনার ডাকে সাড়া দেব (অন্যের ওপর অত্যাচার করব না) এবং রাসূলদের অনুসরণ করব। তোমরা কি ইতিপূর্বে কসম খেয়ে বলতে না যে তোমাদের পতন নেই! যারা নিজেদের ওপর অত্যাচার করেছে, তোমরা তো তাদের বাসস্থানেই বাস করছ এবং সেসব অত্যাচারীদের সঙ্গে আমি কেমন আচরণ করেছি, তা তোমাদের কাছে স্পষ্ট হয়ে গেছে। উপরন্তু আমি তোমাদের জন্য বহু উদাহরণ দিয়েছি’। ( সূরা ইবরাহিম, আয়াত : ৪২-৪৫)